Image description
 

জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ইরান। আর দেশটির আলেমরা বলছেন, যুদ্ধ তাদের ইমানি শক্তি বাড়িয়েছে। সিএনএনের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

ইরানের অন্যতম পবিত্র শহর ক্বোমে অবস্থিত হজরত ফাতিমা মাসুমা (সা.)-এর মাজার দেশটির ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনধারার এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এটি ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত এবং এখান থেকেই বহু ইসলামি মতবাদ ও আদর্শের জন্ম হয়, যা পরবর্তী সময়ে দেশের নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলে।

শহরটিতে অসংখ্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও সেমিনারি থাকায় ক্বোম শুধু একটি পবিত্র স্থান নয়, বরং একটি চিন্তার কেন্দ্রও বটে। এমন একসময়ে, যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন ক্বোমের ধর্মীয় নেতারা এই পরিস্থিতি নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন।

 

একজন স্থানীয় আলেম সিএনএনকে বলেন, যদি ট্রাম্পের সত্যিই কোনো সদিচ্ছা থাকে, তাহলে অন্য দেশের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে, মানুষকে শান্তিতে বাঁচতে দেওয়া উচিত। তারা ভাবে বোমা, হত্যা ও সন্ত্রাস দিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ করা যাবে। অথচ এসব হত্যা ও সন্ত্রাস আমাদের দুর্বল নয় বরং আমাদের বিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করে।

 
 

আরেকজন ধর্মীয় নেতা বলেন, আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- যদি কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তবে তিনিই আমাদের শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করে দেন।

 

রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি ইরানের এ এলাকাটির একটি কৌশলগত গুরুত্বও রয়েছে। ক্বোম প্রদেশেই অবস্থিত ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যেটি ইরানের অন্যতম প্রধান পরমাণু স্থাপনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বাঙ্কার বাস্টার বোমার মাধ্যমে এই কেন্দ্রকে ধ্বংস করেছে।

তবে ইরান তা আংশিক স্বীকার করে জানিয়েছে, কেন্দ্রটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো সচল রয়েছে। তারা জানায়, পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ তাদের সার্বভৌম অধিকার। কোনো হুমকি, নিষেধাজ্ঞা বা হামলা তাদের সেই পথ থেকে ফেরাতে পারবে না।