
ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির পর ইরানে চলছে বিজয়ের উৎসব। এই যুদ্ধবিরতিকে ঐতিহাসিক জয় হিসেবে বর্ণনা কর করে সরকারপক্ষের দাবি, এই বিজয় পশ্চিমাদের শিং ভেঙে দিয়েছে। এই `নতুন যুগের সূচনা’য় কেউ আর তাদের পরমাণু কর্মসূচি থামাতে পারবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইরানের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের পর তেহরান কোনোভাবেই পরমাণু প্রযুক্তি পরিত্যাগ করবে না। এই প্রযুক্তি অর্জনে দেশটির পরমাণু বিজ্ঞানীরা মৃত্যুসহ বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চলবে। লন্ডনভিত্তিক ওয়েবসাইট 'নিউ এরাব'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
যুদ্ধবিরতিতে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ বলেন, ‘এই বিজয় পশ্চিমাদের শিং ভেঙে দিয়েছে। পুরো বিশ্ব আজ আমাদের সক্ষমতা নতুন চোখে দেখছে।"
পার্লামেন্টের স্পিকার গালিবাফের উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মাদি একে ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলে অভিহিত করেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেন, ‘পারমাণবিক কর্মসূচি এখন আর কেউ থামাতে পারবে না। আমাদের অটল অবস্থান কেউ নাড়াতে পারবে না।’
টানা ১২ দিনের ভয়াবহ সংঘাতের পর ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই তার ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দেন।
এর আগে ইসরায়েলের পীড়াপীড়িতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভূগর্ভস্থ তিনটি পারমাণু স্থাপনায় বাংকার ব্লাস্টার বোমা দিয়ে হামলা করে। এরপর ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ওই হামলা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে।
তবে মার্কিনসহ বিভিন্ন মহলের মূল্যায়ন, মার্কিন হামলায় ওই স্থাপনা কিংবা ইরানের পরমাণু ক্ষমতার তেমন বিশেষ ক্ষতি হয়নি।
মার্কিন হামলার পর ইরান প্রতিশোধের ঘোষণা অনুযায়ী, কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপরই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে জানান, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটি কার্যকর হবে। পরে আরেক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।