
পূর্বের দাবির বিপরীতে, বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ ঠেকানোর কৃতিত্ব নিজে না নিয়ে দুই দেশের নেতাদেরই প্রশংসা করলেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানানোর পর ট্রাম্প বলেন, দুই “খুব বুদ্ধিমান নেতা” নিজেরাই উত্তেজনা প্রশমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
“এটা পরিণত হতে পারত একটি পারমাণবিক যুদ্ধে। ওরা দুইটি বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। কিন্তু আমি খুশি যে তারা পিছিয়ে এসেছেন,” বলেন ট্রাম্প, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জেনারেল মুনিরকে ইঙ্গিত করে। “আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য।”
এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, ১০ মে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর পেছনে তার ভূমিকা ছিল এবং তিনি উভয় দেশকে মার্কিন বাণিজ্যের প্রলোভন দিয়েছিলেন।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। কানাডার কানানাসকিস শহর থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি স্পষ্ট করেন, ‘অপারেশন সিনদূর’-এর সময় কোনো পর্যায়েই ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি বা মধ্যস্থতার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ভারত ও পাকিস্তানের বিদ্যমান সামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমেই সরাসরি গৃহীত হয়েছে এবং এটি ছিল ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত।
মিশ্রি আরও বলেন, মোদি ট্রাম্পকে জানিয়ে দিয়েছেন যে ভারত কখনোই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা মেনে নেবে না এবং এই বিষয়ে দেশে পূর্ণ রাজনৈতিক ঐকমত্য রয়েছে।
ট্রাম্পের মোদির সঙ্গে জি৭ সম্মেলনের সাইডলাইনে সাক্ষাৎ করার কথা থাকলেও তিনি আগেভাগেই ওয়াশিংটনে ফিরে আসেন। দুই নেতার মধ্যে ৩৫ মিনিটের একটি ফোনালাপ হয়, যা যুদ্ধবিরতির পর তাদের প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ।