
মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য ইরানি হামলার ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্র কিছু বিমান ও জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে বলে বুধবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুই মার্কিন কর্মকর্তা।
এই পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো স্পষ্ট করেননি যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে হামলায় যোগ দেবে কি না।
এদিকে বৃহস্পতিবার কাতারের মার্কিন দূতাবাস এক সতর্কবার্তা জারি করেছে। এতে দূতাবাসের কর্মীদের সাময়িকভাবে কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে প্রবেশ সীমিত রাখতে বলা হয়েছে। দোহার বাইরে মরুভূমিতে অবস্থিত এ ঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা।
দূতাবাসকর্মী ও কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্য মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও সরঞ্জামকে নিরাপদ রাখা। তবে ঠিক কতগুলো বিমান ও জাহাজ সরানো হয়েছে এবং সেগুলো কোথায় নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানাননি।
একজন কর্মকর্তা বলেন, আল-উদেইদ ঘাঁটির যেসব বিমান শক্তিশালী সুরক্ষার আওতায় ছিল না, সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাহরাইনের একটি বন্দরের জাহাজগুলোও সেখান থেকে সরানো হয়েছে। এ বন্দরেই যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর অবস্থান করে।