Image description

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন 

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি তাকে।

এমন খবর খবর প্রকাশ হওয়ার পর ক্রমবর্ধমান চাপে পড়েন টিউলিপ। বিষয়টি নিয়ে টিউলিপকে একাধিকবার প্রশ্ন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি টিউলিপের কাছে জানতে চায় ‘লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের সেই ফ্ল্যাটটি তিনি তার স্বৈরশাসক খালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে পেয়েছিলেন কি না।’
 
এর জবাবে টিউলিপ জানান, উপহার হিসেবে নয় বরং তার বাবা-মা তাকে এই ফ্ল্যাটটি কিনে দিয়েছিলেন। 

এই অভিযোগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক।

তবে লেবার পার্টির সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ওই ফ্ল্যাটটি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে টিউলিপকে দিয়েছিলেন ওই ডেভেলপার। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোতালিফ জানান, টিউলিপের বাবা-মা অতীতে আর্থিক সহায়তা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন তিনি।

ভোটার নিবন্ধনসংশ্লিষ্ট নথি থেকে জানা গেছে, বর্তমানে ৭০ বছর বয়সী আবদুল মোতালিফ দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বসবাস করেন। ওই এলাকায় মোতালিফের ঠিকানায় মজিবুল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বসবাস করেন। মজিবুলের বাবা ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। মুজিবুল ইসলাম স্বীকার করেছেন, তিনি ফ্ল্যাটটি ২০০১ সালে কিনেছিলেন। কিন্তু এই বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানাননি তিনি।

যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিতে বলা হয়েছে, বিনা মূল্যে পাওয়া ওই ফ্ল্যাট লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকার কাছে অবস্থিত। ২০০৪ সালে ফ্ল্যাটটি তাকে দেওয়া হয়। এর আগে ২০০১ সালে সেটি ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বর্তমানে পাউন্ডের বিপরীতে টাকার দর অনুযায়ী যা প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে কেনা হয়। ফ্ল্যাটটির বর্তমান দাম নথিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে একই ভবনের আরেকটি ফ্ল্যাট গত আগস্টে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (প্রায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা) বিক্রি হয়েছে।

গত জুলাইতেও ডেইলি মেইল টিউলিপ সিদ্দিক এবং লেবার পার্টির কাছে এ অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করে। তবে তখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি পায় সংবাদমাধ্যমটি। এরপর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আর প্রকাশ করেনি ডেইলি মেইল।