Image description

বিশ্বে ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বাড়ছে। বিশ্বের ২৪টি দেশে জরিপ চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার।

চলতি মাসের ৩ জুন প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। পিউ রিসার্চ জানায়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নেতানিয়াহুর প্রতি আস্থা খুবই কম।

জরিপ অনুসারে, ২৪টি দেশের মধ্যে ২০টি দেশের অর্ধেক বা তার চেয়ে বেশি মানুষ ইসরায়েল সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। অস্ট্রেলিয়া, গ্রিস, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইডেন এবং তুরস্কে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব সবচেয়ে বেশি। তবে ভারত এবং আফ্রিকার দুই দেশ—কেনিয়া ও নাইজেরিয়ায়—ইসরায়েলকে কিছুটা সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখা হয়। ভারতে ইসরায়েলকে নিয়ে ৩৪ শতাংশ মানুষের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। আর নেতিবাক মনোভাব রয়েছে ২৯ শতাংশ মানুষের। কেনিয়া ও নাইজেরিয়ায় ইসরায়েল নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব ৫০ শতাংশের এর কাছাকাছি।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ব্যাপারেও বিশ্বব্যাপী আস্থা অত্যন্ত কম। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ মনে করেন, বিশ্ব রাজনীতি পরিচালনায় নেতানিয়াহুর ওপর আস্থা রাখা যায় না। কেবল কেনিয়া ও নাইজেরিয়াতেই নেতানিয়াহুর প্রতি তুলনামূলক ইতিবাচক মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশে ৭৫ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ নেতানিয়াহুর ওপর খুব কম বা কোনো আস্থাই রাখেন না বলে জানান। 

উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে তরুণেরা প্রবীণদের তুলনায় ইসরায়েল ও নেতানিয়াহুর প্রতি অনেক বেশি সমালোচনাপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ লিবারেল নেতানিয়াহুকে নেতিবাচকভাবে দেখেন, বিপরীতে মাত্র ৩০ শতাংশ কনজারভেটিভ এই মনোভাব পোষণ করেন।

 

আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির এই নেতিবাচকতা ইসরায়েলিদের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৫৮ শতাংশ ইসরায়েলি মনে করেন, তাদের দেশ আন্তর্জাতিকভাবে খুব একটা সম্মান পাচ্ছে না। কেবল ৩৯ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, ইসরায়েল এখনো সম্মানিত।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের এই জরিপ বলছে, চলমান গাজা যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি চরম সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে গৃহীত কৌশল ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো বিশ্ববাসীর কাছে ইসরায়েলের অবস্থানকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।