ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র কতটা জড়াবে—এই প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (MAGA) ঘাঁটি।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রভাবশালী ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও মন্তব্যকারীরা ইসরায়েলি হামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সতর্ক করছেন, যেন তিনি এমন একটি যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়েন যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
প্রভাবশালী রক্ষণশীল বিশ্লেষক টাকার কার্লসন, যিনি ট্রাম্পপন্থীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ, বলেছেন—যুক্তরাষ্ট্রের উচিত না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর “যুদ্ধপিপাসু সরকারকে” সমর্থন করা।
“ইসরায়েল চাইলে যুদ্ধ করতে পারে—ওটা তার সার্বভৌম অধিকার। কিন্তু সেটা আমেরিকার সমর্থন নিয়ে নয়,” —টাকার কার্লসন নেটওয়ার্কের সকালের নিউজলেটারে এমনটাই লেখা হয়েছে।
এই মন্তব্য ইঙ্গিত দেয়, ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ মহলে ইসরায়েলের প্রতি অন্ধ সমর্থন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। MAGA আন্দোলনের একাংশ মনে করছে, ইসরায়েলের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এমন সময় এই বিভাজন সামনে এলো, যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে এবং ইসরায়েল ইরানের ভেতরে সরাসরি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প ও রিপাবলিকান নেতৃত্বকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা কি আগের মতো নিঃশর্তভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে, নাকি আমেরিকান জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে দূরত্ব বজায় রাখবে।
এই বিতর্ক নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান দলে একটি নতুন ভাঙনের ইঙ্গিতও দিচ্ছে।
