Image description
ঢাকাসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ

ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর আজ খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ডেঙ্গু ও করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের মধ্যেই খুলছে এসব প্রতিষ্ঠান।
ফলে উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার থেকে প্রথম ধাপে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হবে। এরপর ২২ জুন থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে। মাদরাসাগুলোর ছুটি সবচেয়ে দীর্ঘ হওয়ায় সেগুলো খুলবে ২৬ জুন।

এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে গভীর উদ্বেগ। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা ফারজানা হক বলেন, আমার ছেলে প্রতিদিন কলেজে যায় বাসে করে। এখন চারপাশে ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি, পথে কোথাও পানি জমে থাকলেই ভয় হয়। কলেজে ক্লাস শুরু হলেও কীভাবে নিরাপদ থাকবে, এই চিন্তায় আছি।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক অভিভাবক মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বড় বিষয়। স্কুল বন্ধ থাকার সময়টাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কতটা হয়েছে, সেটা নিশ্চিত না হয়েই ক্লাস শুরু হচ্ছে। এতে বিপদের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থী রাইদার বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ছুটি মাত্র ১০ দিন ছিল। এখন আবার কলেজ খুলেছে, অথচ আশপাশে কোথাও মশার ওষুধ ছিটাতে দেখি না। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ে, এসব ভাবলে ভয় হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুনের প্রথম ১৩ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১২২৫ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। মে মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৭৩ জন। একইসঙ্গে করোনার সংক্রমণও বাড়ছে। জুনের প্রথম ১০ দিনেই ৫৪ জন আক্রান্ত এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৫৮ জন।

মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান জানান, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্কুল-কলেজের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মশার লার্ভা ধ্বংস করতে ছুটির আগে ও পরে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, তারা সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রেখেছে এবং প্রয়োজনে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে গত ১ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়। শিক্ষা স্তর ভেদে ছুটির সময়ের পার্থক্য ছিল। যেখানে মাদ্রাসাগুলো পায় সর্বোচ্চ ২৫ দিনের ছুটি আর সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে ছুটি ছিল মাত্র ১০ দিন।