
দীর্ঘ আন্দোলন-অবরোধের পরও পোশাক শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ হয়নি। কয়েক দফা সমঝোতা এবং মালিকপক্ষের কথা না রাখার মধ্য দিয়েই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বেশকিছু কারখানার প্রায় ১৫-২০ হাজারের বেশি পোশাক শ্রমিক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কোন পথে শ্রমিকদের আন্দোলন?
আন্দোলনকারীদের মধ্যে রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রমভবন ও উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান করে আন্দোলন করেছেন গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের আটটি কারখানাসহ স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড, ইয়ং বিডি লিমিটেড, ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড, সিজন ড্রেসেস লিমিটেড ও ময়মনসিংহের রোর ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা। তবে তাদের আন্দোলনের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বিজয়নগরের শ্রম ভবন এলাকা। বিশেষ করে গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার সময়ে তাদের বেশিরভাগ দিন-রাত কেটেছে সেখানে।
দিনের পর দিন শ্রমিকরা শ্রম ভবন এলাকায় অবস্থান করলেও প্রথমে সমস্যা সমাধানে তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তীব্র গরমে অবস্থান নেওয়ায় এবং খাবারের অভাবে অনেক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। হৃদরোগে একজনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। সচিবালয় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। শ্রম সচিবসহ অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধও করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সমঝোতা বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু টাকা পরিশোধ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে ঈদুল ফিতরের আগের দিন শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঈদুল আজহার আগে আবারও শ্রমভবনের সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। এবারও পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রাখার হুঁশিয়ারি দেন তারা। শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগী এসব শ্রমিকদের ভাগ্যে কী আছে? সেটি নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সাম্প্রতিক আন্দোলন
ঈদুল ফিতরের আগে ২৩ মার্চ থেকে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন টিএনজেড গ্রুপের অ্যাপারেলস লিমিটেড, অ্যাপারেলস প্লাস ইকো কারখানা এবং স্টাইল ক্রাফট এবং রোর ফ্যাশনসহ বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে ২৪ মার্চ মিছিলে অংশ নিয়ে হৃদরোগে মৃত্যু হয় এক শ্রমিকের। বকেয়া বেতন ও মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ২৫ মার্চ বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। সচিবালয় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। সংঘর্ষে কর্মপক্ষে ৫০ জন আহত হন। এরইমধ্যে ২৯ মার্চ শ্রম ভবনে সচিবকে অবরুদ্ধ করে রাখেন টিএনজেড গ্রুপের কর্মীরা। সে সময় শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রোজার ঈদের আগে ৩ কোটি ও বাকি টাকা মে দিবসের আগেই পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে তিনি মুক্ত হন। যদিও সেই ৩ কোটির জায়গায় শ্রমিকরা পান ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
এদিকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মজুরি ও ভাতা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত রোর ফ্যাশন কারখানার শ্রমিকদের। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসন, শিল্প পুলিশ ও কলকারখানা অধিদফতরের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। কিন্তু এতেও বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শ্রমিকরা। আবার বিজিএমইএ ও শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
এরই মধ্যে চলতি বছরের ২৬ মার্চ বিজিএমইএ ভবনে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। এতে শ্রমিকদের ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজর ৫৩৪ টাকা শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে বিজিএমইএকে সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হয়। ওই টাকা ঈদুল ফিতরের আগে ২৯ মার্চ কারখানাটির শ্রমিক-কর্মচারীদের নিজস্ব বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।
সমঝোতা চুক্তিতে শ্রমিকদের পাওনা বাকি টাকা পরিশোধের জন্য ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি শ্রম আইনের ২০-ধারা মোতাবেক কারখানাটির ১ হাজার ২৮৪ জন শ্রমিকের মধ্যে লে-অফকালীন ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য ১ হাজার ৪৬ জন শ্রমিকের মোট ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৯ টাকা নির্ধারণ করে।
ত্রিপক্ষীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মের মধ্যে এই পাওনা পরিশোধের কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে পাওনা পরিশোধ না করায় ১১ মে ত্রিপক্ষীয় কমিটি কারখানার মালামাল বিক্রি করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নিলে মালিকপক্ষ ২৬ মে পর্যন্ত সময় নেয়। ওই তারিখে পরিশোধে ব্যর্থ হলে সেদিনই কারখানার প্রিমিসেস এ ত্রিপক্ষীয় কমিটি পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করে। এ সময় সহস্রাধিক শ্রমিক কারখানা অবরোধ করেন। ত্রিপক্ষীয় কমিটির কাছে মালিক দ্রুত সময়ে পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কারখানার মেশিন বিক্রির উদ্যোগ নেন। কিন্তু মেশিনের মূল্য রেট নিয়ে সমঝোতা না হওয়ার কথা বলে মালিক মেশিন বিক্রি করতে পারেননি বলে জানান।
এ কারণে ঈদুল আজহার আগে রোর ফ্যাশনের শ্রমিকদের বকেয়া আর পরিশোধ করা হয়নি। কবে এই বকেয়া পরিশোধ হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে এক অনিশ্চয়তা।
শ্রম ভবনের সামনে শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অনিশ্চয়তায় টিএনজেডের ৫ হাজার ২০০ শ্রমিক
গত ৮ এপ্রিল থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে টিএনজেড গ্রুপের আটটি কারখানা। এতে বেকার হয়ে গেছেন অনেক শ্রমিক। এরই মধ্যে ২২ এপ্রিল শ্রমিক-মালিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত হয় টিএনজেড গ্রুপের আটটি প্রতিষ্ঠানের ৫ হাজার ২৫০ শ্রমিকের পাওনা ৫৪ কোটি টাকার মধ্যে ২২ কোটি টাকা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। কিন্তু কথা রাখেনি সরকার ও মালিকপক্ষ। পরে ৭ মে পরিশোধের তারিখ দিলেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়। তাই ঈদুল আজহার আগে ১১ মে থেকে আবারও শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। ১৯ মে আবারও ভবনে প্রবেশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধা দেন তারা। ২০ মে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যেতে চাইলে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
ত্রিপক্ষীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৯ মে থেকে টিএনজেড গ্রুপের ৫ হাজার ২৫০ শ্রমিকের ৫৪ কোটি টাকার মধ্যে ২২ কোটি টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি ৫ কোটির টাকার মধ্যে পাঁচ হাজার শ্রমিককে বঞ্চিত করে মাত্র ২৫০ জনের মধ্যে কিছু টাকা বণ্টন করা হয়। অবশিষ্ট টাকা তসরুফের অভিযোগ ওঠে কতিপয় শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে ঈদের দুই দিন আগে (৫ জুন) উত্তরায় মালিকপক্ষের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন বঞ্চিতরা। সেদিন ব্যাংক বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে মালিকপক্ষ তাদের জানায়, ঈদের পর ব্যাংক খোলার প্রথম কর্মদিবসে ৫ কোটি টাকার বিষয়টি সুরাহা করা হবে। সে অনুযায়ী সেই টাকা আজ রবিবার (১৫ জুন) পাওয়ার কথা।
বাকি ৩২ কোটি টাকার কী হবে
আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, টিএনজেড গ্রুপের আটটি কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ৫ হাজার ২৫০ জন শ্রমিকের কারও তিন মাস, কারও পাঁচ মাসেরও বেশি টাকা পাওনা রয়েছে। এছাড়া অনেকে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন ভাতার টাকা পাবেন। শ্রমিকদের পাওনা ৫৪ কোটি টাকার মধ্যে ২২ কোটি টাকা পরিশোধেও নয়ছয় হয়েছে। শ্রমিক নেতাদের অভিযোগ, এতে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের শ্রমিক উইংয়ের নেতারা মধ্যস্থতা করেছেন। মূল উদ্দেশ্য শ্রমিকদের ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে বকেয়ার বড় অংশ ৩২ কোটি টাকা না দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করা।
স্টাইল ক্রাফট ও ডার্ড শ্রমিকদের বকেয়া
স্টাইল ক্রাফট কারখানার শ্রমিকরা গত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার আগেও শ্রমভবনের সামনে অবস্থান নেন। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্টাইল ক্রাফট কারখানার ৭৬৩ জন শ্রমিকের প্রায় ৮ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও প্রায় শ’খানেক শ্রমিক পাওনা আদায়ে শ্রম আদালতে মামলা করেছেন। ঈদুল আজহার আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শ্রমিকদের বকেয়া পাওনার ২৫ ভাগ পরিশোধ করার কথা বলা হয়। কিন্তু প্রায় সাড়ে ৭০০ শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৪৫০ জন শ্রমিক বকেয়া মজুরির এই ২৫ ভাগ পেয়েছেন।
এছাড়াও ঈদুল আজহার আগে ডার্ড কম্পোজিট ও সিজন ড্রেসেসের শ্রমিকরাও শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন। শ্রম ভবন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করেন। এ সময় রমনা জোনের ডিসি এবং রমনা থানার ওসি ঈদুল আজহার পরে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
দাবি আদায়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে বৃষ্টিতে ভিজে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা
মালিকের বাড়ি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ কতদূর?
সর্বশেষ ঈদুল আজহার দুই দিন আগে ৫ জুন মালিকপক্ষ ও প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। এ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— টিএনজেড গ্রুপ ও স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড। সিদ্ধান্ত হয়, মালিকের বাড়ি ও কারখানার মেশিন বিক্রি করে বকেয়া পরিশোধ করা হবে। তবে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নিয়েও সন্ধিহান শ্রমিক নেতারা। কারণ ঈদুল ফিতরের আগেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় আশাহত হন তারা। অবশ্য এতে সরকারের সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন শ্রমিক নেতারা। আর মালিকপক্ষ নিজেদের অসহায়ত্ব দেখিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চান। সর্বশেষ ঈদুল আজহার আগে প্রতিশ্রুত অর্থ বুঝে না পেলে আজকের (১৫ জুন) পর আবারও রাজপথ উত্তপ্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
যেভাবে সমাধান দেখছেন শ্রমিক নেতারা
বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি আদায় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। শ্রম প্রশাসনের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের সামনে মুখরোচক যেসব আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দেন তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনও মিল নেই। মালিকের বাড়ি ও মেশিন বিক্রির কথা বললেও কোন উপায়ে, কার মাধ্যমে বিক্রি করা হবে এ ক্ষেত্রে সরকার কোনও দায় নিচ্ছে না। অথচ ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক কারণে যেসব মালিক গা ঢাকা দিয়েছেন, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে অথবা সরকারের তত্ত্বাবধানে সেসব কারখানা পরিচালনা করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান রক্ষাসহ নিয়মিত মজুরি পরিশোধ করা যেতো।
গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘শ্রমিক আন্দোলন নতুন কিছু নয়। ঈদ ছাড়াও বছরের কোনও না কোনও সময়ই পাওনা পরিশোধের দাবিতে তারা মাঠে নামেন। তবে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ মালিকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনা পরিশোধ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনে এ ধরনের বিধান না থাকায় মালিকপক্ষ বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে। এ আইন সময়ের দাবি।’
প্রশাসনের মন্তব্য
কলকারকাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর ময়মনসিংহ জোনের উপ-মহাপরিদর্শক আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘রোর ফ্যাসনের শ্রমিকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সব প্রাপ্য পরিশোধের জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কাজ চলমান। শিগগিরই তা সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।’
এ বিষয়ে জানতে টিএনজেড গ্রুপের আটটি কারখানার শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে করা কমিটির প্রধান, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আক্তারকে একাধিকবার টেলিফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।