Image description

ধোঁয়া আর আতঙ্কের মাঝে যখন এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে পিছলে গেল, তখন ১১এ সিটে বসা যাত্রী ভাবতেও পারেননি তিনি বেঁচে যাবেন। বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ভেঙে গিয়েছিল, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল কেবিন, কিন্তু অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর ভাই এখন সেই মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে কণ্ঠে আনন্দ আর আতঙ্কের মিশেল ঢেলে দিচ্ছেন, "এটা একটা মিরাকল, আমার ভাই বেঁচে গেছে!"

গত শুক্রবার রাতের সেই ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন, আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। কিন্তু ১১এ সিটের সেই যাত্রীর গল্প সবাইকে আশার আলো দেখাচ্ছে। তাঁর ভাই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, "বিমানটি যখন রানওয়ে স্পর্শ করল, তখনই টের পেলাম কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এরপরই ধাক্কা... চারদিকে শুধু চিৎকার, ধোঁয়া। আমি ভাবতেই পারিনি আমার ভাই সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত বেরিয়ে আসবেন।"

বিমান দুর্ঘটনার পরের মুহূর্তগুলো ছিল হৃদয়বিদারক। যাত্রীরা জানালা ভেঙে, জরুরি এক্সিট দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ফায়ার ব্রিগেডের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বিমানের একটি অংশ আগুনে ধ্বংস  হয়ে গিয়েছিল। "আমার ভাইকে শেষবার দেখেছিলাম ধোঁয়ার মধ্যে হামাগুড়ি দিতে দিতে। তাঁর জামা কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল, হাতে রক্ত ছিল, কিন্তু তিনি জীবিত!" বলছিলেন সেই ভাই, যার চোখে এখনও সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভাসছে।

 

ডাক্তাররা বলছেন, ১১এ সিটের যাত্রী গুরুতর আহত হলেও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। বিমানের সেই অংশটি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলেই তিনি রক্ষা পেয়েছেন। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভারী বৃষ্টি এবং রানওয়েতে পানি জমে থাকায় বিমানটি পিছলে যায়।

 

এই ঘটনা প্রমাণ করে, জীবন কতটা অনিশ্চিত। একদিকে মৃত্যুর মিছিল, অন্যদিকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার গল্প। ১১এ সিটের যাত্রীর ভাইয়ের কথায়, "আমি আজ নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে করছি। অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আমরা পেয়েছি একটি দ্বিতীয় জীবন।" এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে এভিয়েশন সেফটির গুরুত্ব এবং সেইসাথে ভাগ্যের খেয়ালি খেলার কথা। শেষ পর্যন্ত, এই বেঁচে যাওয়া যাত্রী এবং তাঁর পরিবারের জন্য এটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, একটি অলৌকিক উপহারও বটে!