Image description

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা পরিদর্শন করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার লিটার জ্বালানি ছিল, যার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত, এবং চরম তাপমাত্রার কারণে কাউকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাস্থল মেঘানিনগরের ছাত্রাবাসে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, “তাপমাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে কোনো যাত্রীকেই সময়মতো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে আগুন সবকিছু গিলে নেয় মুহূর্তের মধ্যে।”

অমিত শাহ আরও জানান, প্রায় সব মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে দেহ শনাক্তে কাজ শুরু হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে। এজন্য গুজরাট প্রশাসন ইতিমধ্যেই নিহতদের পরিবারের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। “ডিএনএ পরীক্ষার কাজ করছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ফরেনসিক টিম। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে মোট প্রাণহানির সংখ্যা,” বলেন শাহ।

বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এই দুর্ঘটনায় বিশ্বকুমার রমেশ নামের একজন যাত্রী জীবিত আছেন। অমিত শাহ তার সঙ্গে সরাসরি দেখা করে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। কিন্তু মাত্র ৬২৫ ফুট উপরে ওঠার পরেই গুজরাটের মেঘানিনগরে একটি ছাত্রাবাসের ওপর আছড়ে পড়ে। বিমানে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য।