Image description

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেছেন, সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হলে, জাতীয় নির্বাচন রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে অনৈক্যের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, সেখান থেকে সম্ভবত আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে হবে’ সেখান থেকে সরে আসলো বিএনপি। ‘এপ্রিল ঘোষণা দিয়েছি, তাই এপ্রিলেই নির্বাচন হতে হবে’ সেখান থেকে সরে আসলো অন্তর্বর্তী সরকার। যেই অনৈক্যের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল সেখান থেকে সম্ভবত আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি। এ কারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমান ধন্যবাদের দাবিদার।

তিনি বলেন, তবে বাংলাদেশে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে না। দেশের জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত এবং ঘোষণা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভূখণ্ডে না হয়ে, দেশের বাইরে থেকে প্রকাশ করা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় নাই। বৈঠক যেহেতু দেশের মাটিতে হয় নাই, বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলে দেশ থেকে ঘোষণা দিলে, তা বৈষম্যহীন এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য হত। একটি দেশের সরকার এবং একটি রাজনৈতিক দল, যৌথ বিবৃতি দিতে পারে কিনা এবং এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে কিনা এই বিষয়েও কিছুটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অতীতে এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে, ভুল হতে পারে তবে আমার অন্তত জানা নাই।

তবুও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, আশা করি এখন সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ হবে। জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং গণহত্যার বিচার হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং ভারতীয় প্রভাবমুক্ত জাতীয় নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।