
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে শুক্রবার ভোররাতে তীব্র ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।এতে অন্তত ৬ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, এ হামলার পেছনে রয়েছে একটি প্রতিশোধমূলক প্রেক্ষাপট—ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বেশ কয়েকটি কৌশলগত বোমারু বিমান ধ্বংস হওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ জবাবী হামলার হুঁশিয়ারি দেন।
হামলায় চেরনিহিভে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর লুটস্কের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসস্তূপে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে এবং তার স্ত্রীকে উদ্ধারে কাজ চলছে। শহরে আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন।সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনও আক্রান্ত হয়েছে।
অন্যদিক টারনোপিল শহরেও হামলা হয়েছে।শহরটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে, কারণ আগুনের পর বাতাসে বিষাক্ত পদার্থের ঘনত্ব বেড়ে গেছে।
এ হামলায় রুশ বাহিনী সর্বমোট ৪০৭টি ড্রোন ও ৪৫টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা একক আক্রমণের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানায়।
হামলায় কিয়েভের মেট্রো ও রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। সোলোমিয়ানস্কি জেলায় একটি ড্রোন একটি বহুতল ভবনের পাশে আঘাত করে বিশাল গর্ত তৈরি করেছে এবং নিচে পার্ক করা গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে রুশ ড্রোনের ইঞ্জিন হিসেবে সন্দেহভাজন ধাতব বস্তুর পরীক্ষা করছে পুলিশ।
হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভে নিহত তিনজন ছিলেন জরুরি সেবা কর্মী।তারা আগের একটি হামলার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় দফার হামলায় প্রাণ হারান। এছাড়া চেরনিহিভ শহরে ২ জন এবং লুটস্ক শহরে আরও ১ জন নিহত হন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, রাশিয়া তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বিমানগুলোর প্রতিশোধ নিচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে… বহুতল ভবন লক্ষ্যবস্তু হয়েছে, বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি ছিল ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ জবাবে ইউক্রেনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিচালিত হামলা।
ট্রাম্প বলেছেন, তারা (ইউক্রেন) পুতিনকে একটা অজুহাত দিয়েছে গত রাতে বোমাবর্ষণ করার জন্য।