
কিছুদিন আগেই রাশিয়ার ৪টি সামরিক ঘাঁটিতে কমপক্ষে ৪০টি যুদ্ধবিমানের ওপর ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। এবার সেই হামলার কড়া জবাব দিলো রাশিয়া। আজ শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ এবং দেশের অন্যান্য অংশে বড় আকারের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ক্রেমলিন। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রেসিডন্টে ভলোদিমির জেলেনস্কির জানিয়েছেন, রাশিয়ার সবশেষ এই হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং ৪৯ জন আহত হয়েছেন। দেশটির কিয়েভ, লুটস্ক সিটি এবং উত্তর-পশ্চিমের টেরনোপিল অঞ্চলে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘কিয়েভ সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলাগুলো সবই সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ছিল বলেও জানান তিনি। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী রাতে নির্ভুলভাবে আকাশ, সমুদ্র এবং স্থলভিত্তিক অস্ত্রের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক ড্রোন দিয়ে একটি বিশাল হামলা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়।
কয়েকদিন আগে করা রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে করা ইউক্রেনের হামলার জবাব দেবেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ ব্যাপারে ভ্লাদিমির পুতিনের সতর্ক করার পরই এই হামলা চালানো হলো।
আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জেলেনেস্কি বলেন, ‘এখনই ঠিক সেই মুহূর্ত যখন আমেরিকা, ইউরোপ এবং বিশ্বের সবাই রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করে একসাথে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে।’ তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া সবশেষ এই হামলায় ৪০০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ৪০ টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া এবং অধিকৃত ক্রিমিয়ার কিছু অংশে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাতের মধ্যেই ১৭৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরের ওপর দিয়ে ছোড়া জাহাজ বিধ্বংসী নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও প্রতিহত করা হয়েছে।