
ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) মধ্যরাত থেকে এ হামলা শুরু হয়। বুধবার (৪ জুন) ভোরেও বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
দখলদার বাহিনী দাবি করেছে, তারা সিরিয়ার কর্তৃপক্ষের অস্ত্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কারণ, এখান থেকে তাদের ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এর আগে মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র (প্রজেক্টাইল) নিক্ষেপের খবর পাওয়া যায়। দুটি প্রজেক্টাইল ইসরায়েল অধিকৃত ভূখণ্ডে আঘাত হানে। এ জন্য কে দায়ী তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। দ্য গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের সূত্রও তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এবং নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ইসরায়েলি বিমানগুলো দামেস্কের গ্রামাঞ্চল, কুনেইত্রা এবং দারায় বেশ কয়েকটি স্থানে আঘাত হানে। ইসরায়েলি হামলায় পশ্চিম সিরিয়ার একটি গ্রামের কাছে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় চলমান উত্তেজনায় এ হামলা হলো।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, তিনি দুটি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপের জন্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে দায়ী করেন। ‘আমরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে কোনো হুমকি বা গোলাবর্ষণের জন্য সরাসরি দায়ী মনে করি। শিগগিরই পূর্ণ প্রতিক্রিয়া আসবে।’
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের দিকে প্রজেক্টাইল নিক্ষেপের খবর এখনও যাচাই করা যায়নি। সিরিয়া এ অঞ্চলের কোনো পক্ষের জন্য হুমকি ছিল না এবং থাকবে না। আমরা বিশ্বাস করি, অনেক পক্ষ তাদের নিজস্ব স্বার্থ অর্জনের জন্য অঞ্চলটিকে অস্থিতিশীল করতে চাইতে পারে।
সিরিয়া এবং ইসরায়েল সম্প্রতি উত্তেজনা কমাতে সরাসরি আলোচনায় বসে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি।
এদিকে বেশ কয়েকটি আরব এবং ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম মঙ্গলবার নিক্ষিপ্ত প্রজেক্টাইলের দায় স্বীকারের একটি দাবি ছড়িয়েছে। তারা অখ্যাত গোষ্ঠী শহীদ মুহাম্মদ দেইফ ব্রিগেডের নামে বিবৃতি প্রচার করে। তবে বিবৃতিটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্সের মতো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।