Image description

ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় রাশিয়া ইউক্রেনের কাছে একগুচ্ছ কঠোর শর্ত পেশ করেছে, যা কিয়েভের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ান মিডিয়ায় প্রকাশিত এক মেমোরেন্ডাম অনুযায়ী, মস্কো যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইউক্রেনকে নতুন করে বিশাল অঞ্চল ছেড়ে দিতে এবং তার সেনাবাহিনীর আকার সীমিত করতে বলেছে।

মূল শর্তাবলি:

  • ক্রিমিয়া ও ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে রাশিয়ার দখলদারিত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

  • ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ বাতিল ও নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থাকা

  • রুশ ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ও নাজিবাদ বিরোধী আইন পাস

  • ইউক্রেনের সেনা প্রত্যাহার ও নির্বাচন আয়োজন

আলোচনার অগ্রগতি:
দুই পক্ষ মাত্র এক ঘণ্টা আলোচনায় অংশ নেয়, যা ২০২২ সালের মার্চের পর দ্বিতীয়বারের মতো। যুদ্ধবন্দী বিনিময় ও ১২,০০০ সৈন্যের মরদেহ ফেরত দেওয়ায় সম্মতি জানানো হয়। তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের আশা প্রকাশ করলেন, যদিও তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ইউক্রেনের অবস্থান:
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষমন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেছেন, তারা রাশিয়ার প্রস্তাব পর্যালোচনা করবেন। তবে কিয়েভের নিজস্ব শান্তি পরিকল্পনায় কোনো ভূ-সম্পদ ছাড় বা সেনা সীমিতকরণ নেই। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া মাত্র ১০ শিশু ফেরত দিতে রাজি হয়েছে, যেখানে ৪০০ শিশুকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 

যুদ্ধের ময়দানে অবস্থান:
গত মে মাসে রাশিয়া যুদ্ধে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করে এবং ড্রোন হামলা তীব্র করে। এর জবাবে ইউক্রেন "স্পাইডারস ওয়েব" নামে অভিযান চালিয়ে সাইবেরিয়া ও উত্তর রাশিয়ার বিমান ঘাঁটিতে ১১৭ ড্রোন হামলা চালায়। পশ্চিমা বিশ্লেষকরা এটিকে যুদ্ধের সবচেয়ে সাহসী অভিযান বলে বর্ণনা করেছেন।

পরমাণু হুমকির প্রেক্ষাপট:
রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমান তার পরমাণু অস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুতিন বারবার পরমাণু শক্তির ইঙ্গিত দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা সরাসরি জড়িত হওয়া এড়িয়ে চলছে। ইউক্রেন বলছে, তারা আত্মসমর্পণ করবে না, কিন্তু যুদ্ধ চাই না।

(রয়টার্স ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন)