
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ১৪৩৫ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৪২ জন বাংলাদেশি। এছাড়া অধিকাংশই জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্ডধারী রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযান শেষ হয় শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে। মালয়েশিয়ার জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (জিওপি), ইমিগ্রেশন বিভাগ ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অভিযান পরিচালনা করে।
কুয়ালালামপুরের পুসাত বন্দর উতারা এলাকার বৃহৎ পাইকারি বাজার ও তার আশপাশের সব দোকান ও আবাসিক স্থানে একযোগে অভিযান চালানো হয়। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সকল প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
অভিযান সম্পর্কে মালয়েশিয়ার বুকিত আমান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিভাগের উপ-পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ সুজরিন মোহাম্মদ রোধি বলেন, ’মূলত অবৈধভাবে অবস্থানরত এবং ভুয়া পরিচয়পত্রধারী অভিবাসীদের শনাক্ত করাই ছিল অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য।’
তিনি আরও বলেন, ’বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে আসা ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী শরণার্থীদের মধ্যে জাল কার্ড ব্যবহার, অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে ভাড়া নেওয়া আবাসনে নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে।’
অভিযানে ২২৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি ভাড়াবাসায় তল্লাশি চালানো হয়। এতে মোট ১২২২ জন রোহিঙ্গা নাগরিক, ১৪২ জন বাংলাদেশি, ৯ জন ভারতীয়, ৪ জন ইন্দোনেশিয়ান এবং ১ জন নেপালি নাগরিককে আটক করা হয়।
দাতুক সুজরিন আরও জানান, যাদের বৈধ ভ্রমণ নথি এবং সঠিক শরণার্থী কার্ড ছিল, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যাদের কাগজপত্রে অনিয়ম ছিল, তাদের কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় অবস্থিত ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৬(১)(গ), ১৫(১)(গ), ৫৫ই, ৫৫বি এবং রেগুলেশন ৩৯(খ)-এর আওতায় অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।