
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৯ জন নিহত ও ১৬৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ১২৯ জনে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০০ দিনে গাজার মানুষের ওপর এই আগ্রাসন চলছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে “গণহত্যামূলক আগ্রাসন” বলে উল্লেখ করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছে এবং উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না। ফলে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
যুদ্ধবিরতির পরও হামলা : গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল নতুন করে বড় পরিসরে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১১ হাজারের বেশি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া : ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ও আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ)-এ যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ICJ গণহত্যার অভিযোগ গ্রহণ করেছে। ICC ইতোমধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ : গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা সংকট চরমে। লাখো মানুষ গৃহহীন হয়ে শরণার্থী শিবিরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরিস্থিতিকে “আধুনিক যুগের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দ্রুত আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়।
শীর্ষনিউজ