Image description

গোটা বিশ্ব যখন নতুন বছর উদ্‌যাপনে ব্যস্ত, তখনও ইসরাইলি হামলায় বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। এদিনও নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু নিরীহ ফিলিস্তিনি। তবু উৎসবে মাতোয়ারা বিশ্ব যেন ভুলেই গেছে বর্বর এমন হত্যাযজ্ঞের কথা। ফলে প্রশ্ন ওঠে, গাজা কি তাহলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন?

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি বুধবার (১ জানুয়ারি) জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজা উপত্যকায় নতুন করে আরও অন্তত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যদিও আল জাজিরা জানিয়েছে, এদিন ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।

 
বিশ্লেষকদের মতে, প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ নতুন বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালেও শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই। 
 
প্রতিবেদন মতে, উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার একটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এই এলাকাটি গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন এবং ব্যাপকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশ, যেখানে ইসরাইল অক্টোবরের শুরু থেকে বড় অভিযান চালাচ্ছে। 
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ হামলায় এক নারী ও চার শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
 
এছাড়া মধ্য গাজার বুরেজ শরণার্থী শিবিরে বুধবার রাতের আরেক হামলায় এক নারী এবং এক শিশু নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল। মরদেহ দুটি ওই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
 
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে আক্রমণ করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১২০০ ইসরাইলি নিহত হন এবং কমপক্ষে ২৫০ জনকে অপহরণ করা হয়। 
এর জবাবে গাজায় ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরাইলের বিমান ও স্থল আক্রমণে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। যদিও নিহতদের মধ্যে কতজন হামাস সদস্য রয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 
 
ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়ে ১৭ হাজার হামাস সদস্যকে হত্যার দাবি করলেও, কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।