আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হাশ মানি মামলার রায় হবে। আগামী ১০ জানুয়ারি এই মামলায় আদেশ দেবেন বলে নিউ ইয়র্কের বিচারপতি হুয়ান মারচান জানিয়েছেন।তবে ট্রাম্পকে জেল, জরিমানা নয় বরং নিঃশর্ত মুক্তি দেইয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এক আদেশে এই বিচারপতি জানিয়েছেন, শুনানিতে ব্যক্তিগতভাবে বা ভার্চুয়ালি উপস্থিত হতে পারেন ট্রাম্প।ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এই ‘আইনবহির্ভূত’ মামলা অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জালিয়াতির মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক নথিতে বিষয়টি গোপন রাখা হয়।যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে ঘুষ প্রদান ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। গত মে মাসে নিউইয়র্কের একটি আদালতে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন ট্রাম্প। এমনকি এই মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার তারিখ হিসেবে গত ২৬ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
এর আগে মামলার রায় খারিজের আবেদন করেছিলেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তবে তা খারিজ করে দিয়েছিলেন হুয়ান মারচান।নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং তার যুক্তি, এই মামলা তার ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা।এই মামলার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আবেদনে ট্রাম্প যুক্তি দিয়েছিলেন, মামলাটি প্রেসিডেন্ট সময়কালে তার মাথার উপর ঝুলে থাকবে এবং শাসনক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
বিচারপতি মারচান বলেছেন, ট্রাম্পকে কয়েকটি ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে যা তার উদ্বেগ কমাতে পারে এবং যা প্রেসিডেন্ট পদে থাকা অবস্থায় ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত বিভ্রান্তি এড়াতে সহায়ক হতে পারে। আর এসব ব্যবস্থা থাকলে রায় বাতিলের ‘চরম পদক্ষেপ’ নিতে হবে না।বিকল্প ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে ছিল— ট্রাম্প ২০২৯ সালে হোয়াইট হাউস ছাড়া পর্যন্ত সাজা স্থগিত রাখা অথবা এমন একটি সাজা নিশ্চিত করা যা কারাবাসের সঙ্গে যুক্ত নয়।
নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন ট্রাম্প। তখন বিচারপতি মারচান তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিলেন। এর আগে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশ জারি করেন। ওই আদেশে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যেসব প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেছেন, সেসবের জন্য তিনি দায়মুক্ত থাকবেন বলে ঘোষণা করা হয়। সূত্র:
দ্য গার্ডিয়ান,