Image description
 

এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র প্যাকেজে যুদ্ধবিমানের গোলাবারুদ, আক্রমণকারী হেলিকপ্টারের ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা শেল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া ছোট আকারের বোমা ও ওয়ারহেডও রয়েছে।এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনও মন্তব্য করেনি।গত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দাবিতে বিক্ষোভ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন আসেনি। এর আগে, চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ২০ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানসহ সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল।

বাইডেন প্রশাসন বলছে, তারা ইরান-সমর্থিত গাজায় হামাস, লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েলকে সাহায্য করছে।আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও গাজায় ইসরায়েলের অভিযানকে সমর্থন দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন। এ অভিযানে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে খাদ্য সংকট ও গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে, যা ইসরায়েল অস্বীকার করে আসছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৫ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটেনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের একটি হামলায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করার ঘটনায় এ সংঘাতের সূত্রপাত হয়।ইসরায়েলের প্রধান মিত্র ও অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।এদিকে, ডেমোক্র্যাট বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা ছাড়বেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। উভয়েই ইসরায়েলের দৃঢ় সমর্থক।