
বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করার সিদ্ধান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার বোস্টনের ফেডারেল আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপ আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’। বিবিসি, রয়টার্স।
এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হার্ভার্ড আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। বর্তমানে যেসব বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন, তাদের অবশ্যই স্থানান্তর করতে হবে। না হলে তারা আইনগত বৈধতা হারাবেন।
এছাড়া দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় জনিয়েছেন, হার্ভার্ড ‘আইন মেনে না চলায়’ তাদের স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম সনদ বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও লেখেন, ‘এটি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সতর্কবার্তা হিসাবে বিবেচিত হোক।’
এ সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে মন্তব্য করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমরা হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের চাই। এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৪০টিরও বেশি দেশ থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে তারা। হার্ভার্ড এবং এ দেশকে অসামান্যভাবে সমৃদ্ধ করে এ শিক্ষার্থী ও গবেষকরা।’
হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, আমরা দ্রুত আমাদের কমিউনিটির সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দিতে কাজ করছি। এ প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হার্ভার্ড কমিউনিটি ও আমাদের দেশের ওপর গভীর ক্ষতির হুমকি তৈরি করেছে। পাশাপাশি হার্ভার্ডের শিক্ষা ও গবেষণা মিশনকেও দুর্বল করছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের ফলে হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে। এ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় সাত হাজার বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন। এটি গত শিক্ষাবর্ষে ভর্তি মোট শিক্ষার্থীর ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে কাটছাঁট শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।