Image description

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের যুদ্ধ বন্ধে শর্তসাপেক্ষে সম্মতি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেছেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আগে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে গাজা ছেড়ে যেতে হবে এবং পুরো উপত্যকাকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে।

রোববার (১৮ মে) সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিবৃতির বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য একটি খসড়া প্রস্তাবের আলোকে ইসরায়েল আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এই শান্তির বিনিময়ে নেতানিয়াহু যে শর্ত দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন সহজ নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে বলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণে রাজি আছেন। উইটকফের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজায় ৪৫ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

এই সময়ে হামাস ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েলও কিছু নির্দিষ্ট ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির সময়েই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলবে।

তবে নেতানিয়াহুর মূল দাবি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য হামাসকে পুরো গাজা উপত্যকা ছাড়তে হবে এবং তাদের হাতে যেন কোনো অস্ত্র না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, কাতারের দোহায় আলোচনায় অংশ নেওয়া ইসরায়েলি দল এসব বিষয় খতিয়ে দেখছে।

এর আগে নেতানিয়াহু যুদ্ধ সম্পূর্ণ বন্ধের যে কোনো প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। তবে টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, এবার তার অবস্থানে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপ ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই তিনি আলোচনার পথ ধরছেন।

এদিকে হামাসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে সংগঠনটি আগেই স্পষ্ট করেছিল, যতদিন ইসরায়েল দখলদার শক্তি হিসেবে থাকবে, ততদিন তারা সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে। অস্ত্রসমর্পণের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানায় গোষ্ঠীটি।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের দেওয়া শর্তগুলো হামাসের জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। কারণ এগুলো মূলত হামাসের অস্তিত্ব এবং রাজনৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।