Image description
 

এক বাংলাদেশিকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ওই বাংলাদেশির নাম জাহিদুল ইসলাম ওরফে কাউসার। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫৭ হাজার রুপি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালত তাকে এই সাজা দেন। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রচারে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার একজন বাংলাদেশি নাগরিককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এনআইএ ২০১৯ সালে জেএমবির বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে যেমন, ডাকাতি, ষড়যন্ত্র, তহবিল সংগ্রহ এবং গোলাবারুদ সংগ্রহের সাথে সম্পর্কিত একটি মামলা দায়ের করেছিল। মামলায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এনআইএ এই মামলাটি হাতে নেওয়ার আগে বেঙ্গালুরুর সোলাদেভানাহাল্লি পুলিশ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছিল।

 

এনআইএ অনুসারে, জেএমবির প্রধান সালাউদ্দিন সালেহীনের সঙ্গে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে।২০০৫ সালে বাংলাদেশে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের হেফাজতে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালের অক্টোবরে বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনায়ও জড়িত ছিলেন জাহিদুল। বিস্ফোরণের পর জাহিদুল এবং তার সহযোগীরা বেঙ্গালুরুতে পালিয়ে যায়। বেঙ্গালুরু থেকেই তিনি জেএমবির ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ এবং আসাম থেকে যুবকদের নিয়োগ করেছিলেন। গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, জাহিদুল এবং তার সহযোগীরা ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বোধগয়ায় বিস্ফোরণের জন্যও দায়ী ছিল।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া