
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে। তবে দুপক্ষের সংঘাত মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং আস্থা তৈরিতে সংলাপের জন্য কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
শনিবার (১৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ব্রিটেন ও অন্যান্য দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক তৎপরতায় গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।
তবে বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, যেকোনো সময় এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে।
দুই দিনের সফর শেষে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি রয়টার্সকে বলেন, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আস্থা তৈরি করার জন্য সংলাপ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছি।
‘দুই প্রতিবেশীর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে কিন্তু তারা এমন প্রতিবেশী যে গত কয়েক বছরে একে অন্যের সঙ্গে খুব কমই আলোচনা করতে পেরেছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তাদের মধ্যে আর কোনো ধরনের উত্তেজনা দেখা দেবে না এবং যুদ্ধবিরতি টিকে থাকবে’ বলেন ল্যামি।
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতদের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। কাশ্মীরে হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। তবে ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
ডেভিড ল্যামি বলেন, তিনি বলেন, এ জন্য আমরা তাদের একসঙ্গে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা ও যুদ্ধবিরতি স্থায়ীকরণসহ সংঘাত বন্ধে কাজ করছি।
যুদ্ধবিরতির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা তৃতীয় কোনো দেশে হওয়া উচিত। তবে এর জন্য এখনো কোনো স্থান ও দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়নি।