Image description

ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি আরব আমিরাত সফর শেষে তিনি সফর করেছেন সৌদি আরবেও। তবে সফরের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। সেই ইস্যুকে ঘিরেই ফের ইরানকে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তেহরান যদি নিজেদের অবস্থান থেকে না সরে আসে, তবে তাদের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা হবে। একইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে ইরানকে ‘বিকল্প বেছে নেওয়ার’ পরামর্শও দেন তিনি।

অপরদিকে, ট্রাম্পের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামী ১৩ মে এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘প্রয়োজনে ইরান একসঙ্গে ৬০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে মারতে পারে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে।’

এই বক্তব্যটি প্রকাশ করেছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাক। সালামীর মতে, ইরান এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যদি ইরানকে আক্রমণ করে, তবে ইরান একযোগে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে প্রস্তুত।

এছাড়া, ফিলিস্তিনের গাজার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, দৃঢ় সংকল্প থাকলে সামরিক শক্তিকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। সালামীর মতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন এমনকি আজারবাইজান সফরেও ভয় পাচ্ছেন।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সম্প্রতি হুথি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে সরাসরি দায়ী করে এর কড়া জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।