
পাকিস্তানের আকাশরক্ষায় রচিত হলো এক নতুন অধ্যায়। আর এই অধ্যায়ের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এক সাহসী নারী- আয়েশা ফারুক। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ইতিহাসে তিনিই প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী ফাইটার পাইলট, যিনি ৬ মে রাতের নিঃশব্দ আকাশে নজিরবিহীন সাহসিকতায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি শুধু একটি সফল আকাশযুদ্ধ নয়- বরং নারী নেতৃত্ব, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও কৌশলগত চমৎকারিত্বের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত।
ঘড়ির কাঁটা তখন মধ্যরাত ছুঁই ছুঁই। নির্জন আকাশে রাডার ট্র্যাকিংয়ে ধরা পড়ে ভারতীয় একটি রাফাল যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আকাশে মুহূর্তেই সাড়া ফেলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আয়েশা ফারুক। অত্যন্ত কৌশলী এবং নিখুঁত পরিকল্পনায় ছোঁড়েন এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র। মাত্র ২৭ সেকেন্ডে আক্রমণ, ৮.৭ সেকেন্ডে বিস্ফোরণ এবং ৪ সেকেন্ডে রাফালের চিহ্নমাত্রও রাখেননি তিনি।
বিশ্বজুড়ে সামরিক বিশ্লেষকদের মুখে তখন শুধু এক নাম- আয়েশা।

এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান আয়েশা। তিনি বিশ্বের প্রথম নারী ফাইটার পাইলট, যিনি সরাসরি রাফালের মতো একটি আধুনিক যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছেন। এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা, এমনকি ফরাসি গণমাধ্যমও রাফাল ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আয়েশার জন্ম পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান। পরিবারে তখন শুধুই লড়াই আর সীমাবদ্ধতা। কিন্তু সেই পরিবেশেই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলেন তার মা। আত্মীয়স্বজনের আপত্তি আর সামাজিক বাধা ডিঙিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- তিনি হবেন একজন ফাইটার পাইলট।
আয়েশার যাত্রা ছিল কাঁটাভরা। পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজ এবং পুরুষপ্রধান পেশা হিসেবে পরিচিত বিমানবাহিনীতে নারীর প্রবেশ সহজ ছিল না। ফ্লাইট একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর তাকে শুনতে হয়েছে নানা কটুকথা। অনেকেই ভাবতেন, তিনি সফল হতে পারবেন না।
কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে গিয়ে আয়েশা পেছনে তাকাননি। কঠিন প্রশিক্ষণ, ১৪-১৮ ঘণ্টার পরিশ্রম, মানসিক চাপ—সব কিছু মোকাবিলা করেই হয়ে ওঠেন তিনি পাকিস্তানের সবচেয়ে দক্ষ পাইলটদের একজন।
এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেন, আমাকে নারী বলে কেউ আলাদা করে দেখেনি। এখানে সবাইকেই যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। যুদ্ধবিমান চালানো কোনো বিলাসিতা নয়। এটা দায়িত্ব, এটা প্রতিজ্ঞা। তিনি জানান, প্রতিদিন ভোর ৪টায় দিনের শুরু হয়। ফ্লাইট, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ এবং বিশ্লেষণ মিলিয়ে প্রায় রাত ১২টা পর্যন্ত চলে কাজ।
বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন, যাদের মধ্যে ১৯ জন পাইলট। তবে ফাইটার জেট চালানোর মতো সক্ষমতা অর্জন করেছেন মাত্র ৫ জন। আর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত এমন একমাত্র নারী হলেন আয়েশা ফারুক। ফলে তার এই বিজয় শুধু পাকিস্তানের সামরিক শক্তির জন্য নয়, বরং নারীর ক্ষমতায়নের এক বড় নিদর্শন।
পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো নারীকে যুদ্ধক্ষেত্রে ভাবা হয় ‘অস্বাভাবিক’। কিন্তু আয়েশার সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে, সাহস, মেধা ও পরিশ্রম থাকলে নারীও হতে পারেন দেশের প্রহরী। তিনি শুধু একটি রাফাল ধ্বংস করেননি- ভেঙেছেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অহংকারও।
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট আয়েশা ফারুক এখন কেবল পাকিস্তানের নয়, বিশ্ব সামরিক ইতিহাসেও এক অনন্য নাম। তার এই অভিযান প্রমাণ করে দিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভের জন্য লিঙ্গ নয়, প্রয়োজন দৃঢ় সংকল্প, কঠোর পরিশ্রম ও সাহসিকতার। আয়েশার গল্প আজ অনুপ্রেরণা বিশ্বজুড়ে লক্ষ নারীর জন্য।
মুশাফ ঘাঁটির প্রশিক্ষণপ্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে পুরোনো এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলেছিলেন, আমি কোনো বিশেষ পরিচয়ে নিজেকে দেখিনি। আমাদের কাঁধে একই ভার, পায়ের নিচে একই মাটি। যুদ্ধ ও উত্তেজনায় ভরা এই অঞ্চলে সদা প্রস্তুত থাকতে হয়- এটাই আমাদের নিয়ম।
আয়েশার কথায় স্পষ্ট, এই যুদ্ধের আকাশে তিনি এসেছেন, সৌন্দর্যের মোহ নয়, তাকে টেনেছে দায়িত্বের ডাক। তাই যুদ্ধবিমান নয়, যেন এক জীবন্ত অঙ্গীকারে পরিণত হয়েছেন তিনি- দেশ রক্ষার পাহারায়।
সূত্র : গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প জার্নাল ও রয়টার্স