Image description

আগামী সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই সফরের আগে ইসরায়েলের
প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক সাবেক সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার পক্ষ থেকে একটি গ্রুপ তাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তারা তার কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তিনি যেন তার এই সফরের মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করেন। খবর আল জাজিরার।

নিরপরাধ লোকজনের দুর্দশা এবং হত্যাকাণ্ড বন্ধ, হামাস-মুক্ত গাজা উপত্যকা এবং ইসরায়েলকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোটের পথ প্রশস্ত করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ওই সাবেক কমান্ডাররা।

সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ওই গ্রুপের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিকের দৃষ্টিভঙ্গিই আমরা আপনার কাছে উপস্থাপন করছি।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, গাজার যুদ্ধ আর ইসরায়েলের জাতীয় লক্ষ্য পূরণ করছে না এবং বেশিরভাগ ইসরায়েলিদের মতে, ৭ অক্টোবরের পর হামাসের বর্বরতার অবসান করার জন্য ইসরায়েলের ‘ন্যায্য উদ্দেশ্য’ ‘অনেক আগেই অর্জিত হয়েছে’।

 

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যদি যুদ্ধ অব্যাহত থাকে, তাহলে পশ্চিম তীরে আক্রমণাত্মক অধিগ্রহণ নীতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে চ্যালেঞ্জ করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমনটি আপনি সঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন এটি আমাদের জিম্মিদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।

এদিকে খান ইউনিসে অবস্থিত নাসের মেডিক্যাল কমপ্লেক্সের বার্ন ইউনিটে দখলদার বাহিনীর বোমা হামলায় আরও এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। একদিন আগেই অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৯ জন নিহত হয়েছে।

গাজায় অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ সংস্থা সতর্ক করেছে যে, অবরুদ্ধ এই উপত্যকার পুরো জনগোষ্ঠীই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

এর আগে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস মার্কিন-ইসরায়েলি এক সেনাকে মুক্তি দিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই সেনার মুক্তির পর জানিয়েছেন, তিনি যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য কাতারে মধ্যস্থতাকারী পাঠাবেন।