সিরিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে আরও চার বছর সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন ডি-ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল-শারা। রোববার সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
দেশে জেঁকে বসা বাশার আল-আসাদের স্বৈরশাসনের পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতা আহমেদ আল-শারা সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের প্রধান। ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষমতায় আসেন তিনি।
আসাদের পতনের পর দেশটিতে প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন আহমেদ আল-শারা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় নতুন একটি সংবিধানের খসড়া তৈরিতে তিন বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনার জন্য আরও প্রায় এক বছর সময় লাগবে।
সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ পরিবারের কয়েক দশকের শাসন ও ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান আন্দোলনে দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেছিলেন আহমেদ আল-শারা। তিনি বলেন, জাতীয় সংলাপ সম্মেলন আহ্বান করে এইচটিএসকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।
এদিকে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) আশ্রয় নিতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে ফোনালাপে এমন বার্তা দেন তিনি। ফোনালাপে ফিদান সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে দেশটির স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার এবং সংকটকালীন পর্যায়টি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার গুরুত্ব তুলে ধরেন বলে জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনকু কেচেলি।