তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি একটি অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও জামায়াতের অবস্থান নিয়ে কথা বলেছেন। যা যুগান্তরের পাঠকদের জন্য তুলে ধারা হলো।
মির্জা গালিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমি দুটো জিনিস বলি। একটা হচ্ছে যে— ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ কেন হইছে; কোন কনটেক্সটে হইছে; কীভাবে হইছে; মুক্তিযুদ্ধের কারা নেতৃত্ব দিয়েছেন; মুক্তিযুদ্ধে কারা বিরোধিতা করেছেন ও কেন করেছেন? কোন স্কেলে এখানে জেনোসাইড হইছে, জেনোসাইডের রেসপন্সিবিলিটি কার। এ প্রশ্নগুলো তো অত্যন্ত কমপ্লিকেটেড। যারা হিস্ট্রির স্টুডেন্ট অথবা যারা সোশ্যাল সায়েন্সের স্টুডেন্ট তারা এটা বুঝবেন, যে পৃথিবীর যেকোনো কনফ্লিক্টকে আমি যদি একটা ট্রুথ লেন্স দিয়ে দেখতে চাই- তাহলে এখানে ট্রুথটা সবসময় মনোলিথিক না, খুব স্ট্রেট ফরওয়ার্ড না। মনোলিথিক হলো হিস্ট্রির পলিটিক্যাল ভার্সন- এটা সাধারণত সবাই করেন। বিজয়ীরা ইতিহাস লেখেন- তাই নাই? আপনি আমেরিকান হিস্ট্রি যদি ন্যাটিভ আমেরিকানদের দৃষ্টিতে পড়েন তাহলে আপনি দেখবেন যে হিস্ট্রি একরকম। আপনি যদি আমেরিকান হিস্ট্রি যদি ইউরোপিয়ান হোয়াইট পিপলের পারস্পেক্টিভ থেকে দেখেন- তাহলে এটা আরেকরকম। একইভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যদি আপনি ভারতের লেন্স থেকে দেখেন তাহলে আপনি একরকম দেখবেন। যদি পাকিস্তানের লেন্স থেকে দেখেন তাহলে আরেকভাবে দেখবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পার্টিসিপেট করেছেন তাদের লেন্স থেকে দেখেন তাহলে একভাবে দেখবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন তাদের লেন্স থেকে কেউ যদি দেখেন তাহলে আপনি আরেক ভাবে দেখবেন।
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, নাউ ইফ আই আস্ক দা কোশ্চেন যে ট্রুথ কোনটা। দিস ইজ এ ভেরি ভেরি কমপ্লিকেটেড কোশ্চেন; ভেরি ভেরি কমপ্লিকেটেড কোশ্চেন। আমি আনবায়াসড মাইন্ডে এখানে ট্রুথ কোনটা এটার উত্তর দেওয়াটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আমি তো জামায়াতে ইসলামের প্রজন্ম না- তাই না। আমি তো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যারা জামায়াতে ইসলাম লিড দিয়েছেন; যারা ডিসিশন নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার- আমি তো সেই প্রজন্ম না। আমি পরের প্রজন্ম আমি বাংলাদেশ দেখছি- তাই না। আমার জন্ম বাংলাদেশে- সো আই হ্যাভ এ কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট পারসপেক্টিভ।
তিনি বলেন, আমি ছাত্রশিবির করেছি। আমি ছাত্রশিবিরকে দেখে ছাত্রশিবির করেছি। আমি কিন্তু ছাত্রসংঘ দেখে করি নাই- তাই না; আমি ছাত্রশিবির। তো আমার পারসপেক্টিভ; আবার যারা ছাত্রসংঘ করছেন তাদের পারসপেক্টিভ- ইজ কমপ্লিটলি ডিফারেন্ট থিং। এই দুটোর মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য আছে। নাও হিয়ার ইজ মাই আনসার। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম আমি যখন এই সমাজে বড় হয়েছি; আজকে পর্যন্ত আসছি- এই সমাজ এই রাষ্ট্র আমাকে কী কখনো একটা গণতান্ত্রিক স্পেস দিয়েছে? যেখানে আমি ৭১-এর কোশ্চেনকে একাডেমিকলি এড্রেস করতে পারি? কখনোই তো দেওয়া হয় নাই। সবচেয়ে বড় স্টেট স্পন্সর প্রজেক্ট ছিল ট্রাইবুনাল- তো ট্রাইবুনালে ন্যায়বিচার হয় নাই; এই ট্রাইবুনাল তো আমাকে ইতিহাসের একটা একটা স্পষ্ট ভার্সন দিতে পারে নাই। সো হিয়ার ইজ মাই আনসার।
এই শিক্ষক বলেন, আমি তরুণ প্রজন্মের- যারা যারা ৭১-এ ছিলেন না সেই প্রজন্মের। জামায়াতে ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধ করেছে। সো আই হ্যাভ দ্যাট লাইবিলিটি। আমি তরুণ প্রজন্মের যারা ৭১-এ ছিলাম না- আই এম ইন্টারেস্টেড এড্রেস সেভেনটিওয়ান কোশ্চেন। আমি ডিসকাশন শুরু করতে চাই- আমার পার্টির মধ্যে। আমি ডিসকাশন শুরু করতে চাই- আমার হিস্টরিক যে মেটেরিয়াল আছে সেগুলো নিয়ে। কিন্তু আই নিড ডেমোক্রেটিক স্পেস- ইফ ইউ গিভ মি ডেমোক্রেটিক স্পেস আই উইল স্টার্ট ডিসকাশন অ্যান্ড আফটার ফিনিশিং ডিসকাশন উইথ ইন মাই পার্টি আই উইল গিভ ইউ দ্যা অ্যানসার।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটা টার্মের মধ্যে দিয়েছে ইটস এ ভেরি কমপ্লিকেটেড ইস্যু। দেন জামায়াতে ইসলাম জামায়াতে ইসলাম হিসেবে কন্টিনিউ করছে। ছাত্রসংঘ ছাত্রসংঘ হিসেবে কন্টিনিউ করে নাই সে শিবির হিসেবে কন্টিনিউ করছে- তাই না। তো আমি যখন শিবির করি- আমি শিবিরকে দেখে শিবির করি। আমি শিবিরের কনস্টিটিউশন পড়ে করি আমি শিবিরের লিটারেচার পড়ে দেখি। শিবিরের লিটারেচার তো ছাত্রসংঘের কোনো ইস্যু না। শিবিরের লিটারেচার তো ৭১-এর কোনো ইস্যু না এবং এটা একটা হিস্টরিক ঘটনা।