গত জুলাইয়ের ৩১ তারিখে- ইরানের রাজধানী তেহরানে শহীদ করা হয় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে। এ বিষয়ে নতুন করে আরও তথ্য দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের টেলিভিশন ‘চ্যানেল-১২।’ একই সঙ্গে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ।
টেলিভিশন চ্যানেল-১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যরা। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিশালায় ফিরে আসেন ইসমাইল হানিয়া। এর ঠিক কিছুক্ষণ পর তার কক্ষে থাকা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) যন্ত্রে ত্রুটি দেখা যায়। এসময় এসি ঠিক করার জন্য সাহায্য চাইতে রুম থেকে বের হন তিনি। তবে দীর্ঘ সময় না ফেরার ফলে ভীত হয়ে পড়েন মোসাদের সদস্যরা। তারা ভাবতে থাকেন, হানিয়াহ হয়তো নিজ কক্ষ পরিবর্তন করেছেন। ভেস্তে যেতে থাকে মাসের পর মাস ধরে হামাস নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা।
তবে দীর্ঘ সময় পর ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের একজন সদস্য এসি ঠিক করেন। এরপর নিজ কক্ষে ফিরে আসেন হানিয়াহ। তার ঠিক কিছুক্ষণ পর রাত ১.৩০ ঘটিকায় বোমা বিস্ফোরণে শহীদ হন তিনি। তার খাটের নিচেই গোপনে সংযুক্ত করা হয়েছিল বোমা।
চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের জন্য রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানকেই বেছে নিয়েছিল ইসরাইল। তবে এমন হত্যাকাণ্ডের পর রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভীত ছিল ইসরাইল। আর ন্যাটো সদস্য হওয়ায় তুরস্ককেও এই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে চূড়ান্ত অবস্থান হিসেবে তেহরানকে বেছে নেয় মোসাদ।
ইরানের নাগরিক ও দেশটির রেভ্যুলেশনারি গার্ডের সাহায্যেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরাইল বলে ধারণা করছেন ইরানি কতৃপক্ষ ও বিশ্লেষকরা।