Image description
 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আর এ পরিস্থিতিতে সবার নজর ইসলামাবাদের জনগণের প্রতিক্রিয়ার দিকে। ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান কী পদক্ষেপ নেবে তা নিয়েই চলছে জল্পনা-কল্পনা।

 

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থানরত নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান খান এ বিষয়ে জানান, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসসি) পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে যথাসময়ে এবং যথাযথ পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া জানাতে অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ এখন সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাপক শক্তিশালী ও কঠোর জবাবের প্রত্যাশা করছে। আল-জাজিরা

হাসান খান বলেন, সেনাবাহিনী এখন প্রচণ্ড চাপে আছে। পাকিস্তানিরা ভারতের হামলার চেয়ে আরও কঠোর জবাব আশা করছে।

তবে তিনি আশা করেন না যে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করবে। বরং সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত ভারতীয় সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

 

তবে এদিকে ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তান ভারতের হামলার জবাব দিলে ভারত আবারও হামলা করবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্রম মিসরি নয়াদিল্লিতে বুধবার ১৩ জন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশ্লেষক ও লেখক মাইকেল কুগেলম্যান রয়টার্সকে বলেন, ভারতের এবারের হামলা ২০১৯ সালের তুলনায় ব্যাপক। পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও একটি বড় প্রতিক্রিয়া আসতে পারে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, ভারতকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। তারা মনে করেছে আমরা পিছু হটবো। কিন্তু তারা ভুলে গেছে যে, পাকিস্তান বীরদের জাতি। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের গত রাতের বিমান হামলায় নিহতদের প্রতিটি রক্তবিন্দুর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। এই সেই কাপুরুষোচিত শত্রু যারা নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে নিজেদের শক্তিশালী মনে করে।