Image description

মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার একলব্য আদর্শ স্কুলে এই ঘটনা ঘটে। রাজধানী ভোপাল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা ও গ্রন্থাগারিকের কথাকাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতিতে। দুজনই একে অপরকে চড় মারেন, চুল ধরে টানাটানি করেন এবং এই পুরো ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, উচ্চস্বরে তর্কে জড়িয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা ও গ্রন্থাগারিক। গ্রন্থাগারিক মোবাইলে ঘটনাটি রেকর্ড করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে চড় মারেন, মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে মাটিতে আছাড় দেন। গ্রন্থাগারিক তখন বলেন, “ম্যাডাম, আপনি কীভাবে সাহস করলেন? আমাকে চড় মারলেন কেন? আমার মোবাইলটা ভেঙে দিলেন!”

প্রধান শিক্ষিকা এরপর সেই মোবাইলটি আবার তুলে ছুঁড়ে ফেলেন, ফলে সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। তখন গ্রন্থাগারিক আরও জোরে চিৎকার করে জানতে চান, “আমার মোবাইল ভাঙলেন কেন? আমাকে চড় মারার সাহস হলো কীভাবে?” এরপর প্রধান শিক্ষিকা নিজেই ঘটনার ভিডিও করতে শুরু করেন। তখন গ্রন্থাগারিক পাল্টা চড় মারেন। শুরু হয় মারামারি।

গ্রন্থাগারিক প্রধান শিক্ষিকার ওড়না ধরে টানেন, জবাবে প্রধান শিক্ষিকা তাঁকে ধরে চড়-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে গ্রন্থাগারিক বলেন, “আপনি কীভাবে আমাকে স্পর্শ করলেন?”, উত্তরে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “সেলফ-ডিফেন্স (আত্মরক্ষা)।”

পেছন থেকে এক ছাত্রের কণ্ঠ শোনা যায়: “মাম্মি, থাকতে দাও।” কেউ প্রথমে এগিয়ে না এলেও পরে এক নারী তাদের থামানোর চেষ্টা করেন। বর্তমানে দুইজনকেই সহকারী কমিশনার প্রশান্ত আর্যর দপ্তরে সাময়িকভাবে বদলি করা হয়েছে।

এই ভিডিও নিয়ে ইন্টারনেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন মন্তব্য করেন, “সবচেয়ে ভালো কাজ করেছেন যিনি থামানোর চেষ্টা করেছেন হয়তো। তিনি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছিলেন, কিন্তু তিনিই সবচেয়ে বুদ্ধিমান।”

আরেকজন বলেন, “গ্রন্থাগারিকই অপ্রয়োজনে ভিডিও করে ঝামেলা বাড়িয়েছেন। আজকাল টিকটকের যুগে সবাই ভিডিও করতে ব্যস্ত।”

অন্যদিকে কেউ কেউ প্রধান শিক্ষিকার আচরণ নিয়ে বলেন, “প্রধান শিক্ষিকা যেন এক মহিলা গুন্ডার মতো আচরণ করেছেন। এমন মানুষের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়।” এই ঘটনার পর শিক্ষাক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও সংযমের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।