Image description

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (৬ মে) দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) সদর দপ্তরে বৈঠক করেন। এ সময় তাদেরকে বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও পূর্ব সীমান্তে ভারতের আগ্রাসী ও উসকানিমূলক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে প্রচলিত সামরিক হুমকির বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং উদীয়মান হুমকির গঠন (থ্রেট ম্যাট্রিক্স) সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এতে প্রচলিত সামরিক আক্রমণ, হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল এবং সন্ত্রাসী প্রোক্সি ব্যবহারের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সফরসঙ্গীরা জাতীয় সচেতনতা জোরদার, সংস্থাগুলোর মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয় এবং সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতায় যেকোনো ধরনের লঙ্ঘনের মুখে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আইএসআই-এর পেশাদারিত্ব ও কৌশলগত দক্ষতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সংস্থা জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় এবং জটিল ও পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, 'পুরো জাতি আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম পেশাদার ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী।'

বৈঠকে শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় দেশের স্পষ্ট ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, 'জনগণের পূর্ণ সমর্থনে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সব অঙ্গ ও প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের নিরাপত্তা, সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।'

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। উল্লেখ্য, গত মাসে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দেয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ও পাল্টা হুমকি শুরু হয়।

ইসলামাবাদ জানায়, তাদের কাছে ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে যে ভারত সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে, যা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের শঙ্কাকে তীব্রতর করছে।