Image description

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সুযোগ নেওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর বিইউপিতে রোহিঙ্গাদের ফেরানো ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, মিয়ানমারের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত হলেই রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যাবে। এটাই একমাত্র সমাধান।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন জরুরি। তবে মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় বলেই আমি মনে করি। অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনইউজি জোট রোহিঙ্গাদের আহ্বান জানিয়েছিল মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সঙ্গী হতে। তখন রোহিঙ্গাদের সেই সুযোগটা নেওয়া উচিত ছিল।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানান, রাখাইনে মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো চুক্তি বা আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি। 

খলিলুর রহমান বলেন, ‘মানবিক করিডোর নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কোন চুক্তি বা আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি। রাখাইনে মানবিক সহায়তা করিডোরের জন্য আমরা আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলাম। জাতিসংঘ এটি পরিচালনা করবে, এর মাধ্যমে ত্রাণ যাবে, খাদ্যও যাবে। তবে অস্ত্র নয়। এই যোগাযোগ রাখাইনে নিরাপদ পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।’ 

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান, প্রতিবেশী যেই হোক, সবসময় সুসম্পর্ক রাখা প্রয়োজন। এরই অংশ হিসেবে আরাকান আর্মির সাথে ওয়ার্কিং লেভেলের যোগাযোগ করা হয়েছে। 

মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে বাংলাদেশ শ্রদ্ধা করে জানিয়ে তিনি জানান, দেশটিকে অস্থিতিশীল করার কোনো ইচ্ছা নেই।