
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের পর নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বেইজিং। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের বিষয়ে আলোচনা শুরুর জন্য তাদের দেয়া প্রস্তাবগুলো ‘মূল্যায়ন’ করছে চীন। আজ শুক্রবার (২ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটি। খবর আল-জাজিরার।চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে চীনের কাছে সক্রিয়ভাবে বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা। এখন সেগুলো নিয়েই মূল্যায়ন চলছে।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের পর নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বেইজিং। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, একাধিক চ্যানেলের মাধ্যমে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্পের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের ফলে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে কার্যত এক ধরনের পারস্পরিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন ও বেইজিং পরস্পরের পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক কমানোর কোনো ইঙ্গিত দেয় কিনা সেদিকে উদ্বেগের সঙ্গে তাকিয়ে আছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীরা। কারণ দীর্ঘমেয়াদি এ অচলাবস্থার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেইজিংয়ের একটি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গাভেকাল ড্রাগোনোমিক্সের চীনা গবেষণা বিভাগের উপপরিচালক ক্রিস্টোফার বেডর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি আসলেই আলোচনায় আগ্রহী হয়, তাহলে চীনও আলোচনায় বসতে আন্তরিক বলেই মনে হচ্ছে।আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, চীনের হাতে অনেক হাতিয়ার রয়েছে। শুল্ক তো আরোপ করা হয়েছেই। তারা রফতানি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আরো তদন্ত শুরু করতে পারে।