
জম্মু ও কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলা ও এর সম্ভাব্য জবাব নিয়ে দেশটির তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মোদির নয়াদিল্লির বাসভবনে বৈঠকটি হয়। কাল বুধবার তিনি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (সিসিএস) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এর আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা পরামর্শকের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ নিউজ জানিয়েছে, বৈঠকে মোদি জানিয়েছেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের সক্ষমতার ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন কবে, কখন কোন সময় লক্ষ্যতে আঘাত হানতে হবে সে ব্যাপারে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের ধ্বংসাত্মক আঘাত ভারতের জাতীয় সংকল্প।” এরমাধ্যমে মোদি জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালানোর ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে অপর একটি সূত্র।
সশস্ত্র বাহিনীর ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরই মোদির দিল্লির বাড়িতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
কাশ্মিরের পেহেলগামে ওই হামলার পর পাকিস্তানকে দোষারোপ করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামাতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ সেনা নিহত হয়। এরপর পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর দাবি করে নয়াদিল্লি। তারা বলেছিল বালাকোটে জইস-ই মোহাম্মদ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা ছিল। যারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিজেদের পরিচালনা করে আসছিল এবং সেনাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।