
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন, তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তাদের গত সপ্তাহের ওই নির্দেশের ব্যাখ্যাও চাইবে রাজ্য সরকার, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
যেসব শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে ২০১৬ সালে নিযুক্ত হয়েছিলেন, সেই প্রক্রিয়ায় এতই দুর্নীতি হয়েছিল যে ভারতের শীর্ষ আদালত পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেয়। কারা নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন আর কারা ঘুস দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, সেটা অবশ্য পৃথক করা যায়নি।
মমতা ব্যানার্জী কয়েক হাজার চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর সঙ্গে আজ সোমবার কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা প্রথমে একটি দাবি সনদ পেশ করে। জবাবে মমতা ব্যানার্জী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা পাওয়ার পরে তিনি আগে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের বিকল্প ব্যবস্থা করবেন।
মমতা বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। যারা যোগ্য, তাদের চাকরি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা দুই মাসের মধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থা করে দেব। যোগ্যদের কারও চাকরি বাতিল হবে না। মানবিকতার খাতিরে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের হাতে যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা তুলে দিক।’
যতদিন না সরকার বরখাস্তের নোটিশ পাঠাচ্ছে, ততদিন কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।