
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই সময় ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা শাহবাগ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ইসরায়েলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিচারের দাবি জানান।শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিবাদী স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী জাহিরা বলেন, ‘বিশ্বের এত শক্তিশালী মুসলিম দেশ রয়েছে অথচ তারা কেউই ফিলিস্তিনের হয়ে কাজ করছে না, তাদের পক্ষে কথা বলছে না। সৌদি আরব, কাতার অর্থনৈতিক দিক থেকে এত এগিয়ে অথচ তারা ফিলিস্তিনের প্রতি হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। আমরা সব সময় শুনে আসছি পাকিস্তানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র আছে কিন্তু তারাও তো ফিলিস্তিনের জন্য সে অস্ত্র ব্যবহার করছে না। তাহলে আমরা মুসলিম ভাই হিসেবে কিভাবে তাদের পাশে দাঁড়াবো। আজ আমরা এখানে এসেছি বিশ্ব মুসলিমকে জানাতে প্রত্যেকটা মুসলমান একে অপরের সাথে আছে।’ বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থী তারিকুল আহসান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে পেরেছি। বিশ্বের সকল মুসলিম শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে ইসরায়েলি বাহিনী থেকে ফিলিস্তিন মুক্ত করতে পারবে। আজ সারা বিশ্বের মুসলিম শিক্ষার্থীরা জেগেছে, শুধু মুসলমান নয় প্রায় সকল দেশের সকল ধর্মের শিক্ষার্থীরা জেগেছে। আমরা ফিলিস্তিনিদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই আমরা তাদের সাথে আছি।’
পপুলার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘সকল মুসলমানদের উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এই হামলার প্রতিবাদ জানানো। ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করা উচিত। ইসরাইলের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। সকল মুসলমান যদি এক হয়ে এই কাজগুলো করতে পারে তবে শিগগিরই তাদের অর্থনীতিতে ধ্বস নামবে।’‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা শাহবাগ। ছবি: এনটিভিআদ-দ্বীন ওমেন্স মেডিকেল কলেজের নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন কামাল ইমা বলেন, ‘আমরা তো তাদের জন্যে কিছুই করতে পারছি না। অন্তত তাদের জন্যে এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া আমাদের কর্তব্য। তাই আমরা সবাই আজ শাহবাগে আসছি।’বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জুঁই বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ দেশের সকল বিত্তবান মানুষদের কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা যতটুকু পারেন গাজাবাসীর জন্যে সহযোগিতা পাঠাবেন। তাদের পানি নেই, ওষুধ নেই, খাবার নেই। আমরা যদি এই সহযোগিতাগুলো পাঠিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি অন্তত তাদের জন্যে কিছু করা হবে।’