
ধ্বংস্তুপের মধেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন গাজার নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোররা। চারপাশে বড় বড় ভবণের ধ্বংস্তুপ। তবুও ঈদের সকালে বাবার হাত ধরে ঈদের নামাজ আদায় করতে মসল্লায় উপস্তিত হন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা।ইসরাইলিদের বোমাও কখনো ফিলিস্তিনিদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। মৃত্যুকে আসলে তারা কখনো তোয়াক্কাই করে না। তাই তো হাজারো নিষেধাজ্ঞার মাঝে তারা আল-আকসায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।এদিকে ঈদের দিনও গাজাবাসীর উপর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং গাজার সাবেক বাসিন্দা মনসুর শোমান আল জাজিরাকে জানান, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের মাঝেও অনেক ফিলিস্তিনি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঈদের সকাল থেকেই ভাই-বোন, মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানু-নাতি মসজিদে বা ফাঁকা ময়দানে একত্রিত হয়েছেন। শত বাধা উপেক্ষা করে তারা গাজার ঐতিহাসিক শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন ও পারিবারিক কাঠামো টিকে রেখেছে।ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আল-আকসায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন এক লাখেরও বেশি মুসল্লি। রোববার সৌদি আরবসহ বিশ্বের ১১টি দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ জানায়, ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আল-আকসায় ঈদের নামাজ আদায় করেনে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মুসল্লি। অনেক মুসল্লিকে মসজিদের ভিতর প্রবেশ করতে বাধা দেয় ইসরাইলি বাহিনী। তারা বাধ্য হয়ে মসজিদের বাইরে নামাজ আদায় করেন।স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, দখলদার পুলিশের বাধার কারণে বহু মুসল্লি আল-আকসা মসজিদের চত্বরে প্রবেশ করতে না পেরে মসজিদের বাইরের প্রাচীরের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।