
রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল নেপাল। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানী কাঠমান্ডু-সহ সংলগ্ন এলাকায় রাজার সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিক্ষোভকারীরা একাধিক সরকারি ভবন ভাঙচুরের পাশাপাশি গাড়ি ও বিভিন্ন দোকানে অগ্নিসংযোগও করে।
পুলিশের সঙ্গে দফায়-দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের পরেই রাজধানী কাঠমান্ডু সহ আশেপাশের এলাকয় কারফিউ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। আপাতত রাত দশটা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ঋষিরাম তিওয়ারি।
গত কয়েকদিন ধরেই নেপালে ফের গণতন্ত্রের পরিবর্তে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে পথে নেমেছে রাজা জ্ঞানেন্দ্রর সমর্থকরা। সেই সঙ্গে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ নেপালে আবার রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে হিন্দুত্বকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। এদিন বিকালে পরিস্থিতির আচমকাই অবনতি হয়। রাজতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। তিনকুনে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী এবং বিক্ষোভকারী আহত হন। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধব নেপালের দল সিপিএন (ইউনিফাইড সোশ্যালিস্ট) এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এমনকি ব্যক্তিগত বাড়ি, দোকান, সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়, রাজনৈতিক দলের অফিস এবং সরকারি সম্পত্তিতেও ভাঙচুর চালানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় কাঠমান্ডুর জেলা প্রশাসন বানেশ্বর-তিনকুনে এবং আশেপাশের এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। জেলা প্রশাসক ঋষিরাম তিওয়ারি জানিয়েছেন, কারফিউ চলাকালীন নির্ধারিত এলাকায় জমায়েত, সমাবেশ এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।