
মোনাজাতে চোখের পানি ঝরিয়ে মহান আল্লাহর সাহায্য চাইলেন ফিলিস্তিনি মুসলিমরা। পবিত্র শবেকদরের রাতে মুসলিমদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে সমবেতভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাহায্য চান তারা।
এ সময় অনেকেই জানান, পশ্চিম তীরের পবিত্র এই মসজিদে আসার পথে নানা স্থানে বাধার মুখে পড়েছেন তারা। তবুও ইসরায়েলি বাহিনী গুলির ভয় উপেক্ষা করে প্রাণের চেয়ে প্রিয় বায়তুল মুকাদ্দাসে এসেছেন তারা।
পশ্চিম তীরের বাসিন্দা হুওয়াইদা মাজিদা বলেন, আমি অনেক বাধা পেরিয়ে আল-আকসায় পৌঁছেছি। এখানে লাইলাতুল কদরের রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ত করেছি। যেন গাজায় আমার পরিবার এবং সেখানকার সবার জন্য দোয়া করতে পারি। দোয়া করব যেন এই বিপর্যয় ও যুদ্ধের অবসান ঘটে।
শবেকদরের রাতে ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতে কাণায় কাণায় পূর্ণ হয় বায়তুল মোকাদ্দাসের প্রাঙ্গণ। অনেকেই জানান, দূরত্ব অনেক বেশি হলেও যে মসজিদে নবী (সা.) নামাজ আদায় করেছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ আদায় ও দোয়া করার জন্য সব কষ্ট ও দূরুত্ব পেছনে ফেলেছেন তারা।
পশ্চিম তীরের আরেক বাসিন্দা হামজা হামুদ বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমি এখানে এসেছি। আমরা এসেছি পবিত্র শবেকদরে বরকতময় এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে। মহান আল্লাহ তা’য়ালার কাছে ইসলামী উম্মাহর কল্যাণ এবং সকল মানুষের মঙ্গলের জন্য দোয়া করেছি।