
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোর অভিযোগে কমপক্ষে ৩০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার গায়ানায় এক সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, "আমরা নিয়মিতভাবে এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করছি যারা সহিংস বা উগ্র কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে।"
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের টার্গেট করা হচ্ছে। সম্প্রতি, তুরস্কের এক ডক্টরাল শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্কের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বোস্টনের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তার আইনজীবীর দাবি, ইফতারের সময় তাকে আটক করে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাস্ক পরা নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যাচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই পদক্ষেপকে "মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর হামলা" বলে নিন্দা জানিয়েছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এসব শিক্ষার্থীর কর্মকাণ্ড "ইহুদিবিদ্বেষী ও মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য ক্ষতিকর"। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "হামাসের মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থনকারীদের জন্য মার্কিন ভিসা একটি বিশেষ সুযোগ, অধিকার নয়।"
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সমালোচনা বাড়ছে, যেখানে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।