Image description

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক শুধুমাত্র একটি কূটনৈতিক জোট নয়; এটি আদর্শিক, রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে এক গভীর মৈত্রী। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক সমর্থন দেয়, অন্যদিকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ফলে এই সম্পর্ককে অনেকেই "অটুট বন্ধন" বা "দুই দেশ, এক হৃদয়" বলে থাকেন।

১৯৭০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ৪৫+ বার জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে সবসময় ইসরায়েলকে রক্ষা করে। ওয়াশিংটনে AIPAC (American Israel Public Affairs Committee) নামের লবি গ্রুপটি কাজ করে, যা মার্কিন রাজনীতিতে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করে। কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান—উভয় দলই ইসরায়েলের প্রতি সহানুভূতিশীল নীতি অনুসরণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে ইসরায়েল মূল ভূমিকা পালন করে। ইরান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন বিষয়ে ইসরায়েলকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে। মার্কিন রাজনীতিবিদদের নির্বাচনী প্রচারে ইসরায়েলপন্থী লবি গ্রুপের বিশাল অর্থায়ন থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা ইসরায়েলের জন্য ঐতিহাসিক সাফল্য ছিল।

 

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্ক শুধুমাত্র কৌশলগত নয়, এটি রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক ও আদর্শিক বন্ধনে আবদ্ধ। ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে সবসময় অগ্রাধিকার পায়, ফলে ফিলিস্তিন সংকটেও যুক্তরাষ্ট্র একতরফা অবস্থান নেয়। তাদের এই জোটের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, বরং দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষ বজায় থাকছে। যুক্তরাষ্ট্র কখনই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যাবে না, বরং যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাবে—এটাই তাদের নীতিগত অবস্থান!