Image description
 

ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের বিরুদ্ধে ‘প্রচণ্ড শক্তি’ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ না হুতিরা নৌরুটে হামলা বন্ধ করবে, ততক্ষণ অভিযান চলবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও তার মিত্রদের জাহাজে আক্রমণ বন্ধ না করলে ইয়েমেনে হামলা আব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা বলেছে, তারা মার্কিন হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। খবর আল জাজিরা।

শনিবার (১৬ মার্চ) ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে পাঁচ শিশু ও দুই নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৯৮ জন।

হুতির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানিয়েছেন, তারা মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান-এর ওপর ১৮টি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

 

হুতি নেতা আবদুল মালিক আল-হুতি বলেন, আমরা আমেরিকার বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাব এবং তাদের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করব। তিনি জানান, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করতে তারা ইসরায়েলি জাহাজকেও লক্ষ্যবস্তু করবে।

 

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হুতিদের বিরুদ্ধে ‘প্রচণ্ড শক্তি’ ব্যবহারের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ না হুতিরা নৌরুটে হামলা বন্ধ করবে, ততক্ষণ অভিযান চলবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ বলেন, মার্কিন অভিযান অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না হুতিরা বলে, আমরা হামলা বন্ধ করছি।

হুতিদের হামলার সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেন সালামি।

সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আরো সংঘর্ষ মানবিক সংকটকে আরো গভীর করবে এবং গোটা অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে শিপিং কন্টেইনারে হামলা শুরু করেছিল হুতিরা। রোববার এক বিবৃতিতে হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে যে, যতক্ষণ না গাজার অবরোধ তুলে নেয়া হয় এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় ততক্ষণ নৌরুটে তাদের অভিযান চলবে।

জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হামলা বন্ধ করেছিল হুতিরা। গত দুই মাসে তারা কোনো হামলা চালায়নি।

এরপর মার্চের শুরুতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, তিনি গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনা পরবর্তী পর্যায়ে না গড়ায়।

এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার হুতিরা ঘোষণা করে যে, তারা হামলা পুনরায় শুরু করবে। কারণ তারা ইসরায়েলকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, তা পেরিয়ে গেছে।