Image description
 

প্রায় এক মাস আগে শীক্ষার্থী ভর্তি, বৃত্তি প্রদান বা ছাত্রদের বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ‘জাতি-ভিত্তিক পছন্দ’ দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফেডারেল সাহায্য হারাতে পারে বলে সতর্ক করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর পরই শিক্ষা বিভাগ এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়।

বৃহস্পতিবার ( ১৩ মার্চ ) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান দেশটির শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্ণবাদ ও বৈষম্যমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং এই তদন্ত সেই কার্যক্রমেরই অংশ।’

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাগরিক অধিকার বিভাগ এই তদন্ত পরিচালনা করছে। 

এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যায় সম্প্রতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে তা নিয়েই যত আপত্তি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যেসব লিখিত অভিযোগ এসেছে, সেগুলোতে বলা হয়- মার্কিন শিক্ষার্থীদের চাপে রাখতেই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যাপারে এত আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

অভিযোগ উঠেছে, এসব ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ এবং এশিয়ান-আমেরিকান শিক্ষার্থীদের বাদ দেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত নাগরিক অধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। মার্কিন নাগরিক অধিকার আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে এবং এই আইনের মূল লক্ষ্য ছিল গায়ের রঙের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি যেন বৈষম্য-বঞ্চনার শিকার না হয়।

এখন সেই আইনটিই প্রয়োগ করা হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির কারণে কোনো শ্বেতাঙ্গ মার্কিন শিক্ষার্থী কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কি না- তা এখনও জানা যায়নি।

এই অভিযোগের তীর বেশিরভাগই পিএইচডি প্রকল্পে জড়িত কলেজগুলোর উপর। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অলাভজনক সংস্থা যা ব্যবসায়িক জগতকে বৈচিত্র্যময় করার লক্ষ্যে কম প্রতিনিধিত্বশীল গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ব্যবসায় ডিগ্রি অর্জনে সহায়তা করে। 

এরকম পিএইচডি প্রকল্প নিয়ে তদন্তের মুখোমুখি ৪৫টি কলেজের মধ্যে রয়েছে অ্যারিজোনা স্টেট, ওহাইও স্টেট এবং রাটগার্সের মতো প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এছাড়া  ইয়েল, কর্নেল, ডিউক এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির মতো নামিদামি বেসরকারি স্কুল।

শিক্ষা বিভাগের এই তালিকায় আরও নাম আছে গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইথাকা কলেজ, নিউ ইংল্যান্ড কলেজ অব অপটোমেট্রি, আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তুলসায় ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

 

 সূত্র: এনবিসি নিউজ