Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কমল মেডি এইডস ঢাবি প্রেজেন্টস- ১ম আল কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতা-২০২৫ শীর্ষক ব্যানারে প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের প্রধান ক্বারী এমদাদ, ক্বারী লিয়াকত, ক্বারী আব্দুল মালেক ও ক্বারী আতাউল্লাহ। সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মাওলানা নাজির মাহমুদ।

 

প্রতিযোগিতায় ছেলে ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন আরবি বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের আশিকুজ্জামান আনিস, দ্বিতীয় হয়েছেন সিএসই বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী এন এমরশিদ উজ জামান মাসুম, তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে ২০২৩-২৪ সেশনের ক্রিমিনিলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহান আহমেদ ও ২০২৩-২৪ সৈশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিম হাসান।

নারী ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সুমাইয়া বুলবুল, দ্বিতীয় হয়েছেন সংগীত বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী কবিতা আক্তার ও তৃতীয় হয়েছেন উর্দু বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী শেখ তাসনিয়া করিম।

প্রতিযোগিতার ব্যাপারে কমল মেডি এইড ঢাবির প্রতিষ্ঠাতা তানভীর বারী হামিম জানান, ঢাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র রমজান মাসে আল কোরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতাটি কোরআনের প্রতি তরুণ শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে কোরআনের আলোকে জীবন গড়তে সহযোগিতা করবে। কমল মেডি এইড শিক্ষার্থীদের শুধু টেলিমেডিসিন সেবা কিংবা স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও দৈহিক উন্নতি লাভেও ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, গত ১৫ বছর এই ক্যাম্পাসে একটি ইসলামবিরোধী সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল। আমরা দেখেছি এখানে সব ধররনের প্রোগ্রাম হলেও ইসলামিক কোনো প্রোগ্রামের আয়োজন করা হলে আগের দিন রাতে বা দিনে কোনও না কোনও উপায়ে বা বন্ধ করে দেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পরে ক্যাম্পাসে সুস্থ পরিবেশের পাশাপাশি ইসলামিক প্রোগ্রাম আমরা দেখতে পারছি। এমন প্রোগ্রাম নিয়মিত চালু থাকুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা৷

ঢাবি প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.মামুন আহমেদ বলেন, আজকে এখানে উপস্থিত হয়ে যে তৃপ্তি পেয়েছি এবং অনুষ্ঠানকে ঘিরে যে পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা আমি খুব কমই পেয়েছি। রমজানের এই পবিত্র পরিবেশে কোরআন একটি সুন্দর রূপ প্রদান করে। এই আয়োজন রমজানে হওয়ায় এটি আরও আকর্ষণীয়, তৃপ্তিদায়ক, আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য হয়েছে৷ আমরা যারা ইসলামকে মেনে চলি তাদের জীবনকে আরও উন্নত করতে কোরআন নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে কোরআন।