Image description
 

যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ইমরানের গুলিতে বিএনপি কর্মী আজগর হোসেন (২৫) আহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সৈয়দপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশ আহত আগজরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ২রাউন্ড তাজা গুলি ও ১রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করে।

আজগর উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর ছেলে। ইমরান একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামের ছেলে এবং গ্রামের ইউপি সদস্য ও ফুলসারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেনের চাচাতো ভাই।

গুলিবিদ্ধ আজগরের ফুফাতো ভাই বিএনপি কর্মী বিপুল হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় গ্রামের ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে বিএনপি কর্মী ওলিয়ার রহমান এবং গুলিবিদ্ধ আজগরের পিতা ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আব্বাস আলীর শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে বিতর্ক হয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের পন্ডিত মোড়ে ইউপি সদস্য কবীর হোসেনের চাচাতো ভাই (আলতাফের ভাতিজা) শিপন বিপুলকে হুমকি দেন ও আব্বাস-ওলিয়ারদের খুঁজতে থাকে। তখন তিনি পন্ডিত মোড় থেকে চলে আসেন।’

বিপুল হোসেন আরও বলেন, ‘পরে তারাবির নামাজের আগ দিয়ে গ্রামের মিলনের মুদি দোকানের সামনে মামাতো ভাই আজগরসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় আলতাফ হোসেনের আরেক ভাতিজা ইমরান পিস্তল উঁচিয়ে আমার (বিপুল) দিকে গুলি ছোড়ে। আমি নিজেকে সরিয়ে নিতে পারি। সেই গুলি পাশে থাকা আজগরের পায়ে বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা ইমরানকে আটক করে মারপিট করে এবং পুলিশে খবর দেই। তবে এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ইমরানকে চিকিৎসা দেয়ার নাম করে পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ও এক রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসাসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।’

চৌগাছা হাসপাতালে আহত আজগর বলেন, ‘সেখানে আগে কিছু ঝামেলা হয়। আমি বাড়ি থেকে ওখানে গেলে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইমরানের গুলি এসে আমার পায়ে বিদ্ধ হয়। আমি আহত হয়ে পড়ে যাই।’

এদিকে হাসপাতালের ডাক্তার পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, পায়ে এখনো গুলি রয়েছে। অপারেশন করে বের করার জন্য আহত রোগীকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করেছেন তিনি।

চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ আজগরকে উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলি বের করার জন্য ডাক্তার তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। ভুক্তভোগীর পিতা তার সঙ্গে যশোর হাসপাতালে গেছেন। তিনি ফিরে এজহার দায়ের করবেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। দোষীকে আটকের চেষ্টা চলছে।’