
ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
রাজধানী আঙ্কারার বেস্তেপে মিলেট প্রদর্শনী হলে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ‘ব্রাদারহুড ইফতারে’ যোগ দিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ।
গাজার জনগণের সঙ্গে তুরস্কের অটল সংহতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি মুসলিম দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজা পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা কেবল গাজা বা পশ্চিম তীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; আমরা আমাদের সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সেইসঙ্গে এই লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও করেন তিনি।
এরদোগান গাজায় ইসরাইলের ৪৭১তম দিনের গণহত্যাকে নিন্দা করে একে ‘মানব ইতিহাসের কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি সাংবাদিক এবং ৩৩০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীও রয়েছেন, যাদের ইসরাইলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছেন।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব নিতে এবং গাজার দুর্দশা বন্ধ করার জন্য দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ‘তুরস্ক গাজাকে সমর্থন করার জন্য সব উপলব্ধ সম্পদ একত্রিত করেছেন। আমরা প্রতিটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের কণ্ঠস্বর হয়েছি। ’
তিনি আরও ৯টি দেশকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে তুরস্কের ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি এ সময় আরও বলেন, আঙ্কারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় যোগদান, এক লাখ টনমানবিক সহায়তা প্রদান এবং ইসরাইলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার মতো দৃঢ় পদক্ষেপও নিয়েছে।