
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মুসলিমদের অবশ্যই বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব পাওয়া উচিত, কারণ এটি তাদের প্রাপ্য অধিকার।
তিনি বলেন, “জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মুসলিম দেশের উপস্থিতি এখন আর শুধু প্রয়োজন নয়, বরং এটি একটি অপরিহার্য বিষয়।”
সোমবার রমজান উপলক্ষে আঙ্কারায় বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন, যেখানে তিনি মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এরদোগান উল্লেখ করেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের যথাযথ ভূমিকা নেই। এটি সংশোধন না হলে বৈশ্বিক ন্যায়বিচার সম্ভব নয়।
জাতিসংঘের কাঠামো নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি শুধু অন্যায্য নয়, বরং বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা তৈরি করেছে। তাই এর সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।
তিনি বলেন, “বিশ্ব পাঁচ দেশের হাতে বন্দি থাকতে পারে না”—এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতিসংঘের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামো শুধু অপ্রতুল নয়, এটি কার্যকারিতা হারিয়েছে। বৈশ্বিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য এটি পরিবর্তন করা আবশ্যক। মুসলিম দেশগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা তাদের ন্যায্য অধিকার।”
বর্তমানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া এবং ফ্রান্স—এককভাবে ভেটো ক্ষমতা ধরে রেখেছে, যার ফলে মুসলিম দেশগুলো বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে না।
এরদোগান মুসলিম দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও সক্রিয় ভূমিকা নেয় এবং বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি